কাশ্মীরে ‘মানবঢাল’ : ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে সেনাবাহিনীর জিপের সামনে যে যুবককে ‘মানবঢাল’ করে বেঁধে ঘোরানো হয়েছিল তাকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিসন। সোমবার দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশ, কমিসনের পক্ষ থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই অর্থ ফারুক আহমেদ নামে নিগৃহীত যুবকের হাতে তুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এনডিটিভি
রাজ্য মানবাধিকার কমিসনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিলাল নাজকি জানান, ফারুক আহমেদকে ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করায় তার প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি হয়। ওই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সেজন্য জম্মু-কাশ্মির সরকারকে ওই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি বিলাল নাজকি বলেন, ফারুকের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সারাজীবন তিনি তা ভুলতে পারবেন না। দেশীয়, আন্তর্জাতিক আইনে একজন অপরাধীর সঙ্গেও এমন ব্যবহার করার অধিকার নেই। সভ্য সমাজ মানুষের প্রতি এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। ‘এটা এক ধরনের মানসিক নির্যাতন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।‘ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর জাস্টিস অ্যান্ড প্রোটেকশন অব হিউম্যান রাইটস’ সংগঠনের চেয়ারম্যান আহসান অন্তুর আাবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিসন ওই নির্দেশ দেন। কাশ্মিরে পাথর ছোড়া বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফারুক আহমেদকে (২৬)। বাতগামের সিতাহরন গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমেদকে সেনাবাহিনীর জিপের বনেটে বেঁধে নয়টি গ্রামে ঘোরানোসহ মারধর করা হয়।
বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর লিতুল গগৈ দাবি করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তার বাহিনীকে রক্ষায় তিনি এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই উদ্যোগ নেয়ার পর দেশটির সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে তাকে ‘কমেন্ডেশন কার্ড’ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ