গুলিস্তান পোড়া মার্কেটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ডিএসসিসির
শাকিল আহমেদ : দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে থাকা গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারে (পোড়া মার্কেট) উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আদালতের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মার্কেটটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার সব দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুশ শোয়েবের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। অভিযানে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গুলিস্তানের এই মার্কেটটির দোকানগুলো অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করে আসছে একটি চক্র। প্রভাবশালীদের সমর্থন থাকায় এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সিটি করপোরেশনকে। ফলে এ মার্কেট থেকে কোন রাজস্ব ও পাচ্ছে না ডিএসসিসি। পরে আদালত এই মার্কেটকে দখলমুক্ত করার আদেশ দেন ডিএসসিসিকে। সেই আদেশ অনুযায়ীই গতকাল অভিযান চালানো হয় ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুশ শোয়েব বলেন ৮-১০ বছর ধরে আমাদের এ মার্কেটটি তারা অভৈধভাবে দখল করে রেখেছে। তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কোর্টে মামলা করেছে। মামলায় আদালত তাদের দোকানগুলে উচ্ছেদের আদেশ দিয়েছেন
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে বিক্ষিপ্তভাবে মিছিল শুরু করে দখলদাররা। এসময় তাদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের ডাকও দেওয়া হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সদস্যদের অনড় অবস্থানে তারা এক পর্যায়ে দোকান থেকে মালামাল নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জি এম আতিকুর রহমান বলেন, ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে ঢাকার বেজমেন্টের সব মার্কেট অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমরা মার্কেটের পক্ষ থেকে একটি আপিল করি যা এখনো বিচারাধীন। এই অবস্থায় সিটি করপোরেশন আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন,২০০৩ সালে মার্কেটটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ১২ তলা ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেয় সিটি করপোরেশন। মার্কেট করবে বলে আমাদের কাছ থেকে টাকাও জমা নেওয়া হয়। কিন্তু মার্কেটের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ অবস্থায় ব্যবসায়িরা বেজমেন্টে মালামাল রেখেছে। আমরা সিটি করপোরেশনকে বলেছি, মার্কেটের কাজ শেষ হলে আমরা স্বেচ্ছায় বেজমেন্ট ছেড়ে দেবো। কিন্তু এখন বিনা নোটিশে বেজমেন্ট ভাঙলে আমরা কোথায় যাব?’ বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনকে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে মার্কেটটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়ন আছে। সম্পাদনা : মাকসুদা লিপি