রাজপথে কাজ শুরু করেছে নারী ট্রাফিক কনস্টেবল
রিকু আমির : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) নারী ট্রাফিক সার্জেন্টের পর এবার নামানো হয়েছে নারী ট্রাফিক কনস্টেবল। গতকাল মঙ্গলবার তারা প্রথমদিনের মত মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে ৬ জন এবং পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণের প্রতিটিতে ৫ জন করে সর্বমোট ২১ জন নারী ট্রাফিক কনস্টেবলকে পদায়ন করা হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন আরও জানান, চলতি মাসের ৬ তারিখে তাদের পোস্টিং দেয়া হয়। বিভিন্ন কারণে ৯ জন নারীকে পোস্টিং দেয়া যায়নি।
সম্প্রতি ডিএমপির পক্ষ থেকে কর্মরত নারী কনস্টেবলদের বলা হয়, কে কে স্বেচ্ছায় ট্রাফিক বিভাগে কাজ করতে আগ্রহী। তখন ৩০ জনকে পাওয়া যায়, যাদের পুরান ঢাকায় অবস্থিত মিল ব্যারাকে ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলে ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
ডিএমপি ট্রাফিক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ডিএমপি ট্রাফিকের ৪ জোনে ২২ জন নারী সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের পাশাপাশি নারী কনস্টেবল ট্রাফিকে দিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ তথা ডিএমপি নারীর ক্ষমতায়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে মনে করেন অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার পান্থপথ সিগন্যালে ট্রাফিক কনস্টেবল হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় পাওয়া যায় গোপালগঞ্জ সদরের নারী শুক্লা বসুকে। গ্রিন রোড হয়ে পান্থপথ সিগন্যালে আসার লেনের প্রান্তে তার সঙ্গে ছিলেন-সার্জেন্ট সাদাত ও ট্রাফিক কনস্টেবল রমজান। সাদাত এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা আমাদের কাজে একটা গতি আনবে আশা করছি। রমজান বলেন, নতুন তো, তাই সব শিখাতে হচ্ছে।
শুক্লা বসু এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাল লাগছে। এই কাজে সফল হতে চাই। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষ্য নিয়ে নারী ট্রাফিক কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পথে চলাচলকারী কোনো নারী সমস্যায় পড়লে একজন পুরুষ ট্রাফিক কনস্টেবল বা সার্জেন্টের কাছে গিয়ে কথা বলতে ইতস্ততা বোধ করতে পারে। কিন্তু নারী কনস্টেবল বা সার্জেন্ট হলে এ সমস্যা হবে না। কোনো যানবাহনের চালকও নারী থাকে। সেক্ষেত্রেও নারী কনস্টেবল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
এক প্রশ্নে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নারী কনস্টেবলদের এমন জায়গায় কর্তব্য পালন করতে দেয়া হবে, যাতে তারা শৌচাগার সুবিধাসহ একজন নারী হিসেবে যা যা সুবিধা দরকার, সব পায়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ