সামাজিক মিডিয়ায় কবি সাহিত্যকদের সমালোচনা ফরহাদ মজহার হলেন গুরুবাবা, মামলার নতুন মোড়
বিশ্বজিৎ দত্ত : ফরহাদ মজহারের অপহরণ ঘটনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে অর্চনা।সে ফরহাদ মজাহারের এনজিও উবিনিগের সাবেক কর্মী।অর্চনা এখন ঢাকায় টিফিন ক্যারিয়ারে ভাত বিক্রি করেন। গত সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, ফরহাদ মজহার তাকে টাকা দিতেই সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। ফরহাদ মজহার তার গুরুবাবা। এই গুরুবাবা তাকে দুইবার গর্ভবতী করেছেন।
এবিষয়ে, ফরহাদ মজহারের স্ত্রী একটি অনলাইনকে বলেছেন, সংবাদ কর্মীদের কাছ থেকে এটাশুনে আমি হতবম্ব। এটা অবিশ্বাস্য। আগে যা শুনেছি এখন যা শুনছি তার মধ্যে কিছুই মিলছে না। অপহরণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এটা করা হতে পারে।
এ নিয়ে গতকাল সামাজিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলেছে। কথা সাহিত্যিক ও ডাক্তার জাকির তালুকদার তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, গর্ভরোধের জন্য যেসব ওষুধ, ইনজেকশন ও ডিভাইস আছে, সেগুলো নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । ফরহাদ মজাহারের উবিনিগ এসব ব্যবহার না করার জন্য প্রচারণাও চালায়। কিন্তু সেসব ব্যবহার না করেও গর্ভরোধ করা যায়। প্রাকৃতিক পদ্ধতি আছে। তবু এমনটি ঘটলো। তাও একবার নয় দুবার। সাহিত্যিক মিলান ফারাবী লিখেন,উবিনীগ কর্মীর সঙ্গে ফরহাদ ইসলামাবাদীর যে যৌন সম্পর্কের রগরগে কাহিনী তাকে হওয়ার কিছু দেখিনা। ফরহাদ মজহার সবসময় এমনই ছিলেন। তিনি একটি ছড়াও পোস্ট করেন, কত জুতার বাড়ি খেয়েছি ফরিদার। তবু আমি প্রেম ভিখারী অর্চণার। সাহিত্যিক কুলদা রায় লিখেছেন, উনি প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া বাসে উঠেননি। আমেরিকার গ্রীনকার্ডধারী। যেকোন সময় ৩৫ লাখ টাকা বের করতে পারেন। পারিবারিক পার্টি দেন ঢাকা ক্লাবে। দেশে কয়েকটি বাড়ি। মিরপুর রোডে বিরাট শপিং সেন্টার। বেশ কয়েকটি এনজিওর মালিক। কর্মচারিদের বেতন দেন ১০ হাজার টাকা। লিখিত নেন ২০ হাজার টাকার। একজন মহাধান্ধাবাজ।
কবি ব্রাত্যরাইসু অবশ্য বলেছেন, ফরহাদ মজহারকে যত প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে তার বুদ্ধিবৃত্ত্বিক কাজগুলো ততই জনতার সামনে আসবে। পাবলিক তাকে কীভাবে গ্রহণ করে এবং কাদেরকে তারা অবিশ্বাস করে জাস্ট দেখেন।
উল্লেখ্য, অর্চণার স্বীকারোক্তিতে বলা হয়েছে, ফরহাদ মজহারের সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্ক হয় ২০১০ সালে। এটি তার স্ত্রী জানতে পেরে তাকে চাকুরি চ্যুত করে। কিন্তু ফরহাদ মজহার তাকে প্রয়োজন অনুযায়ী ১০- ১২ হাজার টাকা প্রদান করতো। তিনি বলেন, প্রথমবার তাকে ফরহাদ মজহার গর্ভপাত করান মালিবাগের একটি ক্লিনিকে। পরে আবারো তিনি গর্ভবতী হয়ে গেলে তাকে গর্ভপাত করানো হয়। ঘটনার দিন ফরহাদ মজহার সকালে তাকে টাকা পাঠাবেন বলে ফোন করেন। বেলা ১১ টায় অর্চণা ফোনে ফরহাদ মজহারকে বলেন, আপনি অপহৃত হয়েছেন কীনা । ফরহাদ মজহার জানান, না তিনি অপহৃত হননি। সন্ধ্যা ৭ টায় ফরহাদ মজহার ডাচ ব্যাংলা ব্যাংকের রকেট সিস্টেমের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা পাঠান। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি