নির্বাচনের জন্য বিএনপির ৩ শর্ত!
কিরণ সেখ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের কাছে ৩টি শর্ত তুলে ধরেছে বিএনপি। শর্তগুলো হলো- বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভয় ও আতঙ্ক মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এগুলো করা হলেই কেবলমাত্র সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ শর্তগুলো দেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক ভাইয়ের মুক্তির দাবি’ উপলক্ষে এ মানববন্ধনে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশবাসী নির্বাচন চাচ্ছে এবং বিএনপিও চাচ্ছে। কিন্তু সরকার একদলীয় নির্বাচন ও ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করতে চায়। সরকার বেগম জিয়াকে জেলে ঢুকানোর সকল ব্যবস্থাই হাতে নিয়েছে। হাজিরার নামে সপ্তাহে দুদিন করে বেগম জিয়ার উপর জুলুম করা হচ্ছে। মহাসচিবকে ইতোমধ্যে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা নির্বাচনে যেতে চাই, তবে সেই নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনা যদি মনে করেন, তিনি যা খুশি তাই করবেন, সেটা হবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সময় বেশি নাই। আলোচনার টেবিলে আসেন। উদ্যোগ নেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যন্যা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। যদি আলোচনায় বসতে ব্যর্থ হন তাহলে সেই দায়িত্ব বিএনপি নেবে না। আর ব্যর্থ হলে যে আন্দোলনের ঝড় উঠবে আপনারা তছনছ হয়ে যাবেন। এই ঝড়ে সত্য ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ আন্দোলন ২০১৪ সালের মত নয়- বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবের আশপাশে যারা আছে তারা তাকে একদলীয় বাকশাল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তারা শেখ মুজিবের জানাজায়ও যাননি। আপনি সেই পরিবারের মানুষ হয়ে এক দল, এক নেতা এবং এক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখছেন, সেটা থেকে বের হয়ে আসেন। ৭১ সালের যে চেতনার কথা আপনারা বলেন, সেই চেতনায় ফিরে আসেন। বাংলাদেশ ভয় ও আতঙ্কের দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে- মন্তব্য করে দুদু বলেন, আতঙ্কের মধ্যে কোনো নির্বাচন করা যায় না। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ