এই অধিকার তার নেই
স্বকৃত নোমান
রাষ্ট্র তার অবস্থান পরিষ্কার করল। সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বলেছেন, ‘ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায় খুলনা গিয়েছিলেন, অপহরণের কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।’ তবু জনাব ফরহাদের অনুসারীরা কি আইজিপির কথা বিশ্বাস করবেন? মোটেই না। এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ তাদের বেশিরভাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই স্বীকার করে না, আইজিপি তো বহু দূরের কথা। শ্রী ফরহাদ যদি নিজেও বলেন, ‘আমি অপহৃত হইনি, আমি স্বেচ্ছায় গিয়েছিলাম’, তবু তারা বিশ্বাস করবেন না। বলবেন, ‘রাষ্ট্রীয় চাপে তিনি এসব বলতে বাধ্য হচ্ছেন।’ কারণ মি. মজহার তাদের মগজে ময়লা-আবর্জনার এমন একটা স্তর তৈরি করে দিয়েছেন, পদ্মা-যমুনার সব পানি দিয়ে ধুলেও তাদের মগজটা পরিষ্কার হবে কিনা সন্দেহ।
এ যাবৎ পাওয়া সকল তথ্য-প্রমাণ বলছে, ফরহাদ মজহার অপহৃত হননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আনুষ্ঠানিকভাবে তার অপহৃত হওয়ার দাবি নাকচ করল। এবার পালা মুহতারাম ফরহাদ মজহারের। তিনি এখন প্রমাণ করবেন তিনি অপহৃত হয়েছিলেন। মুখের কথায় হবে না। সাক্ষী-সাবুদসহ তাকে প্রমাণ করতে হবে। সব সাংবাদিক তো আর সরকারের ‘দালাল’ নয়, ফরহাদ মজহারের অনুসারীদের মধ্যে নিশ্চয়ই অনেক সাংবাদিক রয়েছেন। তারা অনুসন্ধান করুক। করে বের করুক তিনি অপহৃত হয়েছিলেন। যদি প্রমাণ করতে না পারেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে বিভ্রান্ত ফরহাদ মজহারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কারণ তিনি পুরো জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। এই অধিকার তার নাই।
লেখক: কথাসাহিত্যিক