বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের সক্ষমতা কতটুকু?
কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ
বাজেট বাস্তবায়ন করতে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত রাখার ফলে বিরাট একটা অ্যামাউন্ট ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশে ভ্যাট আইন করা হলেও অনেকই এই ভ্যাটের আওতায় নেই। অনেকেই সঠিক পরিমাণ ভ্যাট দেয় না। তাদেরকে এই ভ্যাট এবং ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া এনবিআর-এর অফিসারদের বন্ধুসুলভ ব্যবহার এবং তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ভ্যাট আইন চালু না করেও অতীতে বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাজেট কার্যকর করা হয়েছে। ভ্যাট আইন আপাতত বন্ধ হয়ে গেলে যে বাজেট একেবারে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় তা সঠিক না। এর ফলে একটা ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে আমার ধারণা। আমাদের যথাযথ ভ্যাট আদায়ের ব্যাবস্থা করতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ সরকার সবসময়ই নিয়ে থাকে। আমরা আশা করব ঋণের পরিমাণটা যাতে কম হয়। যত কম ঋণ নিবে ততই ভাল। এখন ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হলে তো ঋণ নিতেই হবে। আমরা আশা করি যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে এবং আমরা যারা ভ্যাট দিই তাদের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে বাংলাদেশের এখনো সামর্থ্য আছে এবং আমাদের সেই সক্ষমতা আছে বাজেট বাস্তবায়নের।
সেই সক্ষমতায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট আমরা কার্যকর করতে পারব বলে মনে করি। এ ব্যাপারে আরেকটি কথা হলো, মানুষের সদিচ্ছা থাকলে, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এবং আমরা যারা ট্যাক্স দিই তাদের সদিচ্ছা থাকলে এই বাজেট কার্যকর সম্ভব। এনবিআর যদি ঠিকমতো কাজ করে অপচয় না হয়, দুর্নীতি না হয় তাহলে বাংলাদেশের এই জাতীয় বাজেট কার্যকর করতে পারব।
পরিচিতি: সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান