বিহারে জোট সরকারের পতন ঠেকাতে মরিয়া সোনিয়ার ফোন লালু, নীতীশকে
ডেস্ক রিপোর্ট : ক্ষমতায় থাকার জন্য লালায়িত নন নীতীশ। পাঁচ মিনিটেই সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংযুক্ত জনতা দল। বৃহস্পতিবার তেজস্বীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে লালুপ্রসাদ জানিয়েছিলেন, আমাদের ৮০ জন বিধায়ক আছে। খোঁচাটা পরিষ্কার মহাজোটে বড় শরিক নীতীশের জেডিইউ নয়, আরজেডিই। শুক্রবার জেডিইউ জানিয়ে দিয়েছিল, ক্ষমতায় থাকার চেয়েও তাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার নীতীশের দুর্নীতি বিরোধী ভাবমূর্তি। সংযুক্ত জনতা দলের মুখপাত্র অজয় অলক বলেছেন, ‘নীতীশ মহাজোটের নেতা, আর কেউ নন। যাঁরা ৮০ বিধায়কের কথা বলছেন, তাদের এই নিয়ে কোনও অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। সরকার এবং ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে আমরা ঠিক পাঁচ মিনিট নেব।’ এরপরেই লালুর দলকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, নীতীশ কুমারের দুর্নীতি বিরোধিতা প্রশ্নাতীত। এই ধরনের কথা বলে মহাজোটের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলা উচিত নয়। বরং তেজস্বীর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তার উত্তর দিক তারা। ক্ষমতা আমাদের কাছে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তেজস্বীর ইস্তফা নিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে যে তিনদিনের সময় দেওয়া হয়েছিল, তা শনিবারই শেষ হচ্ছে। তারপরেই হেস্তনেস্ত হয়ে যাবে বিহারের জোট সরকারের ভবিষ্যৎ। আজকাল
নীতীশ এবং লালুর দলের এই টানাপড়েনের মধ্যে সবচেয়ে অসহায় দেখাচ্ছে কংগ্রেসকে। নীতীশ এবং লালু যদি অনড় মনোভাব দেখান তবে বিহারে জোট সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। শরিক হিসেবে তা কাম্য নয় কংগ্রেসের। তাহলে আরও একটি রাজ্য খোয়াবে তারা। বিজেপি আগেই নীতীশ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় এখন ৮০টি আসন লালুর দলের। নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের দখলে ৭১ আসন। কংগ্রেসের রয়েছে ২৭টি, আর বিজেপির ৫৩টি আসন রয়েছে। সরকার গড়তে দরকার ১২২ আসন। বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়তে অসুবিধা হবে না নীতীশের। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ