রাঙ্গামাটি পাহাড়ধস, একমাস পরও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়নি
বান্দরবান প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের ঘটনার একমাস পরও রাঙ্গামাটির জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসেনি। শহরের ১৫ টি আশ্রয়কেন্দ্রেও পাহাড়ধসে বসতভিটা হারিয়ে ২ হাজারের বেশি মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। ১ মাসেরও এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ পুনর্বাসনের কোন উদ্যোগ নেই।
এছাড়া রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চললেও এখনো ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিচ্ছিনন রয়েছে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড় ও রাঙামাটি-কাপ্তাই-বান্দরবান সড়ক। একটানা তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও প্রচন্ড বজ্রপাতের কারণে ১৩ জুন সকালে রাঙ্গামাটি শহরে ঘটে যায় স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বস। রাঙ্গামাটি শহর এলাকা সহ কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ির জনবসতি থেকে শুর“ করে জনমানবহীন এলাকায় অসংখ্য পাহাড়ের চুড়া থেকে মাটি ধ্বসে এক বিরান ভূমিতে পরিণত হয় রাঙ্গামাটি। ঘড়বাড়ীর উপর পাহাড়ের মাটি ধ্বসে চাপা পড়ে প্রাণ হারায় ১২০ জন। এরমধ্যে রাঙামাটির মানিকছড়ি ক্যাম্প এলাকায় রাস্তায় মাটির স্তুপ সরাতে গিয়ে ৫ সেনা সদস্য প্রাণ হারায়। এছাড়া নিখোঁজ ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। পাহাড় ধ্বসে ঘরবাড়ী হারিয়ে আশ্রয় হীন হয়ে পরে ৪ হাজার মানুষ। প্রথম দিকে ৩৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের আশ্রয় মিললেও বর্তমানে ১৫ টি কেন্দ্রে ২ হাজারের বেশী মানুষ গাদাগাদি করে দিন কাটাচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান