ভয়ঙ্কর কাজের বুয়া সুমি লুট করা স্বর্ণসহ আটক
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ভয়ঙ্কর কাজের বুয়ার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এমনকি তাকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে লুট করা ৭ ভরির কিছু বেশি স্বর্নালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজধানীর অদূরে সাভারের আমিনবাজার থেকে কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করা অবস্থায় দম্পতির দুই সন্তানকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে এই কাজের বুয়া। পরে পুলিশ তাকে ১২ জুলাই রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার মহাজনপুর গ্রাম থেকে আটক করে। আমিনবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৩ মাস আগে আটক হওয়া সুমি বেগম (২৮) আমিনবাজারের মেডিকেলের নিকট রুহুল আমিনের বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে কাজ শুরু করতেন। সুমির আচার-ব্যবহারে অল্পতেই বিশ্বাসও জন্মেছিল। রুহুল আমিন সরকারি চাকুরীজীবি, তার স্ত্রীও সেখানকার হাসপাতালের নার্স। এ কারণে দুই সন্তানকে সুমি বেগমের কাছে রেখেই তারা কর্মস্থলে যেতেন। এরই একপর্যায়ে গত ১০ জুলাই সুমি রুহুল আমিনের দুই সন্তানকে ঘরে আটকে রেখে বাসার স্বর্নালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রুহুল আমিন অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার মহাজনপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময়ে ওই বাসা থেকে লুট করা ৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। সুমি বেগমের স্বামী মোশারফ হোসেন মোশা। তার ৪ স্ত্রীর মধ্যে সুমি ৪ নম্বর। এদিকে সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সুমি রাজধানী ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকা তথা গুলশান, বনানী, উত্তরা, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজের বুয়া হিসেবে কাজ করতো। কৌশলে সে বাড়ির মালিক কিংবা তার স্ত্রীর সঙ্গে ভালো আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। এরই একপর্যায়ে সে বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সম্পদ চুরি করে নিয়ে চলে আসে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ