বিদায়ী অর্থবছরে মাছ রপ্তানিতে আয় ৪ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা
মাসুদ মিয়া : বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা মোট হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুলাই মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ জুলাইতে হিমায়িত মাছ ও মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৫০ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে মাসে জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৯৩ শতাশ কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে চিংড়ি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এই সময়ে আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রপ্তানি আয় শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সময়ে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কাঁকড়া রপ্তানি আয় ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ৩৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অন্যান্য হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৭১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ