সংলাপ কি গতানুগতিকই হতে যাচ্ছে?
গোলাম মাওলা রনি
নির্বাচন কমিশনের সংলাপ উদ্যোগটি খুবই ভাল। এখানে বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে কমিশন যতকিছুই করুক না কেন, যত কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন তাদের পক্ষে বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করাটা একটা অসম্ভব বিষয়। কারণ বিরোধী দলগুলো তখনই আস্থাশীল হবে, বিশেষ করে বিএনপি। আগামী নির্বাচনে যখন তারা এই কমিশনের অধীনে জয়লাভ করবে তখনই বলবে যে, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, তারা কখনোই বলবে না আমরা কমিশনের উপর আস্থাশীল। নির্বাচন কমিশন গতানুগতিক কাজ করে যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোও তাই। এই গতানুগতিক কাজের বিনিময়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি না।
সংলাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো চ্যালেঞ্জ আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ তারা সংলাপ ডাকবে এবং এই সংলাপে সবাই আসবে। এর আগেও যেভাবে এসেছে। সংলাপে এসে গতানুগতিক কথা বলবেন। কেউ বলবেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে না নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। আবার কেউ কেউ আরেক ধরনের কথা বলবেন। সবাই আলোচনায় বসবেন, কিন্তু কোনো পজিটিভ কথা বলবেন না। সংলাপটা সফলতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশন আয়োজিত সংলাপে অংশগ্রহণ করা উচিত। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর জনগণকে ঘিরে যে শক্তিমত্তা আছে এটার উপর ভিত্তি করে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিকার অর্থেই মাঠে নামে তাহলে নির্বাচন কমিশনের নেগেটিভ কোনোকিছু করার থাকে না।
পরিচিতি: কলামিস্ট ও সাবেক সাংসদ
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান