রাষ্ট্র এখন অমানবিক এবং চরম গণবিরোধী : খালেদা জিয়া
শাহানুজ্জামান টিটু : গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের উত্তরার বাসায় বৈঠক না করতে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আ স ম আব্দুর রবের বাসভবনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সভায় পুলিশি হস্তক্ষেপে আবারো প্রমাণিত হলো রাষ্ট্র এখন অমানবিক এবং চরম গণবিরোধী। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, অশুভ উদ্দেশ্যেই দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আ স ম আব্দুর রবের বাসায় পুলিশ প্রবেশ করেছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে- রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে একটা ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করা, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে না পারে।
সরকারি মদতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশি বাধা অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে সেসব সভা ও আলোচনা নস্যাৎ করতে যে ন্যক্কারজনক অসদাচরণ করা হচ্ছে সেটির ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী থাকার জন্য বর্তমান সরকার যাদের প্রতিপক্ষ মনে করে তাদেরকে নির্মূল করতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে।
বিএনপি প্রধান বলেন, এই চরম সীমা লঙ্ঘনের কারণেই দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় সংগঠনগুলো উন্মুক্ত কোনো স্থানেই নয় বরং ঘরোয়া পরিবেশেও সভা কিংবা আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠান করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র শূন্যতার কারণেই আইনের শাসন নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদল ও বিরোধী মত দমন করতে পুলিশকে লাগামহীন লাইসেন্স দেওয়ার কারণেই সামাজিক অপরাধগুলো প্রশ্রয় পাচ্ছে তীব্র মাত্রায়। অনাচার বৃদ্ধির কারণেই শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এখন ভয়-ভীতি-শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
খালেদা জিয়া বলেন, সময় অতি সন্নিকটে, যখন জনগণের সম্মিলিত গণরোষে এই নিপীড়ক সরকারের মূলোৎপাটন ঘটবে। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই- গণবিরোধী জুলুমের পথ থেকে অবিলম্বে সরে আসুন, অন্যথায় যুগে যুগে সকল স্বৈরাচারের মতোই আপনাদের পরিণতি বরণ করতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ