মাদক নিয়ন্ত্রণ না হলে ভিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এম.ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তাই মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশের যুবসমাজকে রক্ষা করতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে এক যোগে কাজ করতে হবে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক মানুষের মস্তিষ্ক নষ্ট করে। মাদকের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তা না হলে যুব সমাজ দিনদিন নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে কাজ করতে হবে। যারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে তাদের বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে তাদের চিকিৎসা করা হবে। তাহলে বাংলাদেশ ভিশনে পৌঁছাতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, একসময় ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ ফেনসিডিল আসত। আমাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রাখার কারণে এখন তা অনেকাংশে কমে এসেছে। আমরা ভারতকে তাদের সীমান্ত এলাকার সকল ফেনসিডিল কারখানাগুলো বন্ধ করে দিতে বলেছি।
সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকায় জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একা সম্ভব নয়। সকলে চেষ্টা করলে জঙ্গি দমনের মতো মাদকও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন মাদক হিসেবে ইয়াবা সমাজে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বহনে সহজ হওয়ায় ইয়াবার ব্যাপকতা বাড়ছে। মায়ানমার থেকে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে আমরা সে দেশের সরকারের সাথে কথা বলছি। নাফ নদীতে টহল বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। নাফ নদীর গহীন এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে একটি হেলিকপ্টার দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আর কোনো ঐশী দেখতে চাই না। আমাদের সন্তানদের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে মাদকের মূল জায়গায় আঘাত করতে চাই। তাই এই বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আসা ঠেকাতে বাংলাদেশের জেলেদের জন্য মাছ ধরা বন্ধ রাখার চিন্তা করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানে ১৭৮ কোটি ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ কোটি ৭০ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ হাজার ১৮১ বোতল ফেনসিডিল, ২০০ বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার এবং ২০০ কেজি গাঁজা ধ্বংস করা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ