অভিবাসী বিতাড়নে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ক্ষমতা বাড়ছে
ডেস্ক রিপোর্ট: ট্রাম্প প্রশাসন যক্তরাষ্ট্র্রের অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ক্ষমতা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করার চিন্তাভাবনা করছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের এক শ মাইলের মধ্যে কোন অভিবাসী দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ধরা পড়লে তবে তাকে আদালতে সোপর্দ না করেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি স্বদেশের উদ্দেশে পাঠিয়ে দিতে পারত। প্রস্তাবিত এই নতুন আইন অনুযায়ী যক্তরাষ্ট্র্রের ভেতর যে কোন স্থান থেকে কোন অভিবাসী যদি প্রমাণ করতে না পারে যে, সে ৯০ দিন বা তিন মাসের বেশি সময় সে দেশে অবস্থান করছেÑ তবে তাকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি আটক বা বহিষ্কার করতে পারবে। অভ্যন্তরীণ এই সংস্থার ১৩ পৃষ্ঠা সংবলিত এক মেমো হস্তগত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন পোস্ট এই তথ্য প্রকাশ করে। প্রস্তাবিত নীতিমালার নির্দেশিকা কার্যকর হলে এই সংস্থার হাতে অভিবাসী বহিষ্কারের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র্রের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার হবে যা ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এ বিষয়ে জোয়ান এফ, ট্যালবট নামে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের একজন মুখপাত্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সুনির্দিষ্ট জবাব এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, এটি একটি খসড়া প্রস্তাব মাত্র তবে, এ সম্পর্কে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জন, এফ, কেলি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। পক্ষান্তরে দু’জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান যে, অভিবাসী সংক্রান্ত প্রস্তাবিত নতুন নীতি এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গত মে মাসেই এটি হোয়াইট হাউসের সংশি�ষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিলি করা হয়েছে এবং বর্তমানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিস থেকে পাঠানো মন্তব্য পরীক্ষা করে দেখছে। প্রশ্ন উঠতে পারে যে, তাহলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বা প্রশাসন কেন এ বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করছে।
আসলে এটি প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বলে কার্যকর হতে যাচ্ছে। এবং এতে কংগ্রেসের কোন অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু অভিবাসীদের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো এ বিষয়ে হৈচৈ শুরু করতে পারে বলে এই গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়াস।জাতীয় অভিবাসী আইন কেন্দ্র এনআইএলসির নির্বাহী পরিচালক মেরিলেনা হিনক্যাপি বলেছেন, ‘এটি বর্তমানে প্রচলিত নিরাপত্তানীতি থেকে কট্টর অবস্থানে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়াÑ যা সারাদেশ থেকে অভিবাসী বিতাড়নের পক্ষে ট্রাম্পের কট্টরনীতি বাস্তবায়নে এক বিশাল পদক্ষেপ।