রোডম্যাপ ঘোষণায় সংকট নিরসন হবে না : মির্জা ফখরুল
শাহানুজ্জামান টিটু : নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা একটি রাজনৈতিক সংকট। যা নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সহায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা না করে রোডম্যাপ ঘোষণা করে সংকট নিরসন হবে না। গতকাল নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ইসি কার্যালয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মপরিকল্পনায় সাত করণীয় নির্ধারণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, আমরা মনে করি এটা কোনো বড় বিষয় বা প্রধান সংকট নয়। প্রধান সংকট হচ্ছে নির্বাচনটা কিভাবে হবে? নির্বাচনে সরকার কি অবস্থায় থাকবে? নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কি থাকবে? এসব এখন বড় প্রশ্ন। এই মুহূর্তে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বড় প্রয়োজন বলে মনে করে তার দল বিএনপি। সহায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনা না করে এই রোড ম্যাপ দিয়ে কোনো সমস্যা সমাধান হবে না। দেশে সংকট নিরসন হবে না। নির্বাচনের জন্য রোড তো থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রোড দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং ম্যাপ তো পরের প্রশ্ন। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের সিনিয়র নেতা এবং নেত্রীর সাথে কথা বলে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রোড ম্যাপ প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য ভালো উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারও বলছে নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে চায়, সহায়তা করতে চায়। কিন্তু প্রকৃত দৃশ্য তো দেখছেন, আমরা কোনো সভা করতে পারি না। গতকাল নেত্রী বিদেশে যাওয়ার সময় আমাদের সিনিয়র নেতাদের রাস্তায় দাঁড় করে রাখা হলো। এই পরিবেশ, পরিস্থিতিতে আদৌও নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না সেটাও সবার আগে দেখতে হবে। আমরা বার বার বলছি সংকটটা একটি রাজনৈতিক সংকট। রাজনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কোনো আলোচনা না করেই এককভাবে একটি রোড ম্যাপ দিয়ে দিলেই সমস্যা সমাধান হবে না। নির্বাচন কমিশনের ডাকা আলোচনায় বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক যতগুলো পদ্ধতি আছে, সেগুলোতে আমরা যেতে চাই। এটা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সদিচ্ছার উপরে। তারা আমাদের সে পথে যেতে দিতে চায় কি না? এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি