দোয়ার বরকত কী?
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
দোয়া করা ইসলাম ধর্মে একটি পৃথক ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে আল্লাহর কাছে চায় না তার উপর আল্লাহ রাগান্বিত হন।’ অন্য হাদিস শরিফে এসেছে, ‘শুধুমাত্র দোয়ার মাধ্যমেই ভাগ্য পরিবর্তন হয়।’ এ জন্য প্রতি মুহূর্তই দোয়ার আমল করা একান্ত প্রয়োজন। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলে করিম সা. বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাÑ ১. রোজাদারের দোয়া, ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশার দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। বিশেষ করে শেষ রাতে বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তিগফার করা চাই কারণ এ সময়টি দোয়ার কবুলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশেষ সময়।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আল্লাহ তাআলা প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং ডাকতে থাকেন কে আমাকে ডাক দিবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কোনো রিজিক প্রার্থী আমার কাছে রিজিক চাইবে কি? আমি তাকে রিজিক দান করব। ক্ষমাপ্রার্থী কেউ আছো কি আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (বুখারি: ১১৪৫; মুসলিম: ৭৫৮)। সুতরাং আমাদের কর্তব্য, বেশি বেশি নেক আমল এবং তাওবা-ইস্তিগফারের পাশাপাশি দোয়ার প্রতি মনোনিবেশ করা।
মানুষ জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে তার প্রয়োজনের কোনো শেষ নেই। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো নিজেদের প্রয়োজনের সকল কিছুই আমরা আল্লাহর নিকট চাইব এবং তা অবশ্যই দোয়ার মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে অধিক হারে আল্লাহর কাছে দোয়া করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লেখক: শিক্ষক, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়, কাজীপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া
সম্পাদনা: আশিক রহমান