দৈনিক ‘আমাদের অর্থনীতি’ আমজনতার পত্রিকা
রবিউল আলম
মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসীরা দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকা বুঝতে মাত্র ৭ দিনের প্রয়োজন হবে। আমি বিশ্বাস করি, একবার যদি নিয়মিত ৭ দিন আমাদের অর্থনীতি পত্রিকা পড়েন তবে পত্রিকাটি আর কখনো ফেলতে পারবেন না। আর স্বাধীনতাবিরোধীরা পড়লে গায়ে আগুন ধরা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না। আমরা যতই বলি গণমাধ্যম নিরপেক্ষ, আমি ব্যক্তিগতভাবে তা বিশ্বাস করি না। মুক্তিযুদ্ধ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের পক্ষে দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকাটির অবস্থান আজ কোথায় অবস্থান করছে তা লিখে বোঝানো যাবে না। এক সময়ে আমি জনকণ্ঠের ৯ নম্বর এজেন্ট ছিলাম। ১৯৯৬ সালে যখন হকার্স সমিতি পত্রিকাটি বিতরণ করতে অস্বীকার করে, তখন আমরা কিছু নেতাকর্মী বিতরণের দায়িত্ব পালন করি। যে কারণে পত্রিকা প্রতিদিন কোন এলাকায় কত পরিমাণে বিলি হয় সে খবর রাখতে হয়। অনেক জাতীয় পত্রিকা অর্থনীতির নিচে অবস্থান করছে। ইচ্ছে করলে নাম উল্লেখ করে অবস্থান দিতে পারি, এতে কিছুটা হীনমন্যতার পরিচয় হবে বলে উল্লেখ করলাম না। তবে আমার নির্বাচনি এলাকায় মোহাম্মদপুর ও ঢাকায় অর্থনীতির অবস্থান ৭-৮ নম্বরে। এ তথ্যে অনেকেই অবাক হতে পারেন, তবে বাস্তবতা তাই।
আমাদের অর্থনীতির সম্পাদকীয় চিত্র (৪ নম্বর পাতা) পাতার আকর্ষণ অদ্বিতীয়, ৫ নম্বর পাতা গ্রামীণ সংবাদে পরিপূর্ণ, ৬ নম্বর পাতা আন্তর্জাতিক সংবাদের তুলনা হয় না, ১ ও ৮ এর পাতায় বিজ্ঞাপন কম হওয়ায় যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ৩ এর পাতায় খেলাধুলার সংবাদ এর একটু বাড়াতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিছুটা রং চং থাকতেই হবে। এখনো আমাদের অর্থনীতি হকারের হাতে উঠেনি, রং চং ছাড়া পত্রিকা হকার হাতে নিতে চায় না। আমি বিশ্বাস করি, অর্থনীতির অর্থ বুঝতে হকার ও গ্রামীণ জনপদে পৌঁছাতে পারলে জনসাধারণ গ্রহণ করবেই। বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী জনগণ অর্থনীতির অর্থ বুঝতে ৭ দিনের বেশি সময় নিবে না। যুগে যুগে শুনেছিলাম, মুক্তচিন্তার সংবাদপত্র, আজ সুদীর্ঘকাল সংবাদপত্রের সঙ্গে অবস্থান করে এটুকু বুঝতে শিখেছে মুক্ত কোনো চিন্তা হয় না। মানুষের জন্য, দেশের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের জন্য চিন্তা করে আমাদের অর্থনীতি।
আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আমরা যারা জড়িত একটু চেষ্টা করলেই সংগঠনের, দলের, বন্ধু-হিতাকাক্সক্ষী, ভক্তবৃন্দের কাছে এক কপি পত্রিকা পড়তে দিলেই সেই ব্যক্তি পরিবর্তন না হয়ে পারবেন না। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনে আমাদের অর্থনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সারাদিন বাড়ি বাড়ি যাওয়ার চেয়ে ২০১৮ বা ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের জনগণের মাঝে এক কপি পত্রিকা পৌঁছে দিন, অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন। কেন আপনার ভোট নৌকায় দিবেন। অনেক নেতা-বক্তৃতার বিষয় খুঁজে পাবে, অনেক উন্নয়ন হয়েছে তার তালিকা পাবেন, শেখ হাসিনার সরকার কেন বারবার দরকার সে প্রশ্নের উত্তর পাবেন। রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিরোধ করতে হবে কেন? কিভাবে দেশকে জঙ্গিবাদের ছোবল থেকে মুক্ত রাখতে হবে তা জানার জন্য আমাদের অর্থনীতির অর্থ বুঝতে হবে এবং সকলকে বুঝাতে হবে।
লেখক: ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা: আশিক রহমান