অরুণাচল সীমান্তের কাছে লালফৌজের মহড়া, উদ্বিগ্ন দিল্লি
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের উপর চাপ তৈরি করতে এবার অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কাছেই তিব্বতে বিপুল সামরিক মহড়া শুরু করল চিন। সিকিম সীমান্তে লালফৌজের আগ্রাসনে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। এমন সময় তিব্বতে যুদ্ধের অনুশীলন করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বেজিং। সংবাদ প্রতিদিন
চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কৃত্রিম যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে তিব্বতে মহড়ায় নামে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সৈনিকেরা। চিনা সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ সূত্রে খবর, লালফৌজের ‘তিবেত মিলিটারি কমান্ড’-এর একটি ব্রিগেড ও দু’টি ‘মাউন্টেন ব্রিগেড’ এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। উল্লেখ্য, ভারত-চিন সীমান্তে পাহারায় থাকে ‘তিবেত মিলিটারি কমান্ড’। তিব্বত থেকে বয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র নদের কাছেই অনুষ্ঠিত হয় ওই মহড়া। জানা গিয়েছে, ওই মহড়ায় ‘অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক’ গ্রেনেড, বাঙ্কার-বিধ্বংসী মিসাইল ও বিমান-বিধ্বংসী কামানের বিস্তর ব্যবহার করেছে চিনা সেনা। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নজরে রেখেই এই মহড়া। সম্প্রতি, তিব্বতে একটি নতুন ধরনের ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে লালফৌজ। যদিও হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা গিয়েছিল চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে, সিকিমে দোকা লা সীমান্তে লালফৌজের আগ্রাসী মনোভাবে ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে এশিয়ার এ দুটি দেশ। ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণই নেই।
বরং দিল্লির বিরুদ্ধে ক্রমশই সুর চড়াচ্ছে বেইজিং। কয়েক দিন আগে দোকা লা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে, কাশ্মীরের মতো সিকিমেও স্বাধীনতার দাবিকে উসকে দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। সিকিম-ভুটান-তিব্বতে ত্রিমুখী সংযোগস্থল এই দোকা লা এলাকা। সেখানে ‘ ক্লাস ৪০’ রাস্তা তৈরি করতে চাইছে চিন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ