আ.লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না : ফখরুল
কিরণ সেখ : আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন ভাসানী মিলনায়তনে মহিলা দল আয়োজিত এক সেমিনারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘বিএনপির ভিশন-২০৩০, নারী সমাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি’ শীর্ষক এ সেমিনারে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম, হত্যা, গুম, জখম ও দুর্নীতি করেছে, সে কারণে তারা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। সুতরাং পালাবার পথ ও সুযোগ মাত্র একটাই। এটা হলো, দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্যথায় সত্যি সত্যিই দেশের মানুষ তাদের পালাতেও দেবে না। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করতে সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপে ইসি সেই ব্যবস্থা করেছে। কারণ বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হউক বর্তমান সরকার তা চায় না। তারা জানে, ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার একজন প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। সম্প্রতি ইসি একাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু নির্বাচনের রাস্তাটা কই? নির্বাচন তো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে করবেন? কিন্তু তাদের নিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা কই। রাস্তা তো খুঁড়ে শেষ করে দিয়েছেন। আর নির্বাচন করতে হলে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একই রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সেই রাস্তা কোথায়? রোডই যখন নেই তখন ম্যাপে কী হবে?
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করুন। অন্যথায় নির্বাচনি রোডম্যাপ সার্থক হবে না। আর তখন সব ব্যর্থতার দায় আপনাদের নিতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আলমগীর বলেন, সবাইকে জেগে উঠতে হবে। এটা আমার দেশ। কেউ যদি জোর করে নিয়ে যায়, আমি কি ছেড়ে দেব, এমনি ছেড়ে দেব। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানসহ আরও অনেকে নিতে চেয়েছিল, আমরা নিতে দেই নাই। যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছি। সুতরাং দেশে গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আর এটার দায়িত্ব বিএনপির উপর। তাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের পথ বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ