‘মামলার ভয়ে কি আর দেশে আসবেন না?’
তরিকুল ইসলাম সুমন : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একজন (তারেক রহমান) মামলার ভয়ে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন না। আরেকজন (খালেদা জিয়া) টেমস নদীর পাড়েই গেলেন। ওনার যাওয়া নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আপত্তি থাকার কথাও না। কিন্তু গত শনিবার থেকে ফেসবুক ও টুইটারে যেসব মন্তব্য দেখছি, তাতে প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক, তিনি কি মামলার ভয়ে পালিয়ে গেলেন? তিনি কি মামলার ভয়ে আর দেশে আসবেন না? আদালতে তার মামলা পরিচালনার সময়ে ১৫০ বার সময় চেয়েছেন। তাতে এসব গুঞ্জন শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে।
গতকাল সোমবার নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রবক্তা ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সড়কমন্ত্রীর দফতরে জাতীয় সড়ক নিরাপদ দিবস নির্ধারণ করায় শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১/১১ এর সময় শেখ হাসিনার মতো সাহস করে তিনি দেশে ফিরে আসবেন কিনা, তার ফিরে আসার সময় দীর্ঘ হবে কিনা তা সময় বলে দেবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে রোডম্যাপ দিয়েছে। সেই রোডম্যাপের বাস্তবায়ন দেখে আমরা এ সম্পর্কে মন্তব্য করব। এটি আমাদের দলের অবস্থান। রোডম্যাপ ভালো হয়েছে কিনাÑ এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে আমরা আরও কিছুটা সময় নেব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি গাড়ির চালকও নই, গাড়ির মালিকও নই। তারপরও রাস্তায় যখন দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহানি হয়, সেই দায় মন্ত্রী হিসেবে আমি এড়াতে পারি না। আমরা ঢাকা-আরিচা রোডে দুর্ঘটনা অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা প্রশস্ত করেছি মাত্র ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করে। ঢাকা-মাওয়া রোডে ৩৪ কিলোমিটার রাস্তায় ৪২টি স্পিড ব্রেকার ছিল, সেগুলো দিনে তুলতে পারিনি। রাতে তুলতে গেলেও স্থানীয় মহিলাদের হামলার শিকার হয়েছেন আমাদের কর্মকর্তারা।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই গাড়ি ও চালক শাস্তি পাবে। কিন্তু দুজন মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ২ হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার যে সস্তা আবেগ, তা আমাদের পরিহার করতে হবে। কারণ এতে লাখ লাখ মানুষ ও হাজার হাজার গাড়ি আটকে পড়ে। এগুলোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ