বাংলাদেশ ব্যাংকের ডে-কেয়ার সেন্টারের দায়িত্বে নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান!
জাফর আহমদ: বাংলাদেশ ব্যাংকের ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করার কথা সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ কোন প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু ডে-কেয়ার সেন্টারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নির্মাণ ঠিকাদারির প্রতিষ্ঠানকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিভাববকরা প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে শিশু দিবা যতœ কেন্দ্রে তাহলে শিশুদের যতœ নেবে অনভিজ্ঞরা ?
কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে ‘আবু সিদ্দিক অ্যান্ড সন্স’ নামক একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ইতোধ্যেই ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিধি মোতাবেক ডে-কেয়ার সেন্টার পরিচালনায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু দরপত্রের শর্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে উল্লিখিত নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জালিয়াতির মাধ্যমে কাজ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ডে কেয়ার সেন্টারের দরপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলির মধ্যে ছিল-ডে কেয়ার সেন্টারের পরিচালনা কাজ পেতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির গত তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আলোচিত সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পাদনের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ১৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট বা ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি থাকারও শর্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বছরে ৩০ লাখ টাকার টার্নওভার থাকারও শর্ত রয়েছে। জানা গেছে, ডে কেয়ার সেন্টারের পরিচালনায় আবু সিদ্দিক অ্যান্ড সন্স কাজের প্রাথমিক অনুমোদন পেলেও তাদের নেই ডে কেয়ার সেন্টারের কাজের অভিজ্ঞতা। জমা পড়া টেন্ডারে আলোচিত প্রতিষ্ঠান যে অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে, তা নিজেরা ইচ্ছেমতো তৈরি করে নিয়েছে। আর তার ভিত্তিতেই অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যাচাই-বাছাই না করে তাদের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে দরপত্রে যে লিকুইড অ্যাসেট বা ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির কথা বলা হয়েছে সেটাও প্রতিষ্ঠানটির নেই। একই সঙ্গে টেন্ডারের শর্তে বার্ষিক টার্নওভারের কথা বলা হয়েছে, তাও প্রতিষ্ঠানটির নেই। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবু সিদ্দিক অ্যান্ড সন্স দরপত্রে যে অভিজ্ঞতা সনদ দিয়েছে তা ‘কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ’ থেকে নেওয়া। কলেজের অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমস্যা আছে। তাই এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না প্লিজ।