ওঁ’ সম্পর্কে ৫টি তথ্য
া কৃষ্ণকান্ত বৈরাগী
ওঁ প্রণবধ্বনি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধ্বনিশ্রেষ্ঠ। যেকোনো মন্ত্রের অগ্রে সে উচ্চারিত হয়। আবার নিরালম্ব ওঁকার উচ্চারণকারীর সামনে খুলে দিতে পারে অনন্তকে। ওঁ-কে নিয়ে কেবল ভারতীয়রাই ভাবেননি, এই ধ্বনিকে নিয়ে ভেবেছে পশ্চিম গোলার্ধ, ভেবেছে নাসার মতো বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থাও। আজ পর্যন্ত ওঁ ধ্বনির রহস্য পুরোপুরি উন্মোচিত নয়। সত্যি বলতে, তা হওয়াও সম্ভব নয়। এই ধ্বনির মধ্যে ডুবে রয়েছে সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের রহস্য। ওঁ-সংক্রান্ত ৫টি তথ্য-
১. ওঁ যাবতীয় ধ্বনির সারাৎসার। এই ধ্বনি থেকেই অন্য যাবতীয় ধ্বনি উচ্চারিত হতে পারে। ধ্বনি উচ্চারিত হয় কণ্ঠ, মুখগহ্বর এবং ওষ্ঠের প্রয়োগে। ওঁ, যা অ-উ-ম-এর সমাহার, তা উচ্চারিত হয় তিনটি ক্ষেত্র থেকেই। অ কণ্ঠে, উ মুখগহ্বরে এবং ম ওষ্ঠে ধ্বনিত হয়।
২. ওঁ-এর তিনটি ভাগÑ অ, উ এবং ম তিন প্রকার সময়ের দ্যোতক। অ জাগ্রতাবস্থার, উ স্বপ্নাবস্থার এবং ম গভীর সুষুপ্তিকে বর্ণনা করে।
৩. ওঁ উচ্চারিত হওয়ার পরে এক নৈঃশব্দ সৃষ্ট হয়। একে ‘তূরীয়’ বলা হয়। যা অনন্ত চৈতন্যের প্রতীক।
৪. উপনিষদ অনুযায়ী এই ত্রিধ্বনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে বর্ণনা করে।
৫. ওঁÑ লিখিত আকারেও একইভাবে তিনটি সময়াবস্থাকে জানায়। তলার বৃহত্তর কুন্ডলীটি জাগ্রত অবস্থার, মধ্যেরটি স্বপনাবস্থার এবং উপরেরটি সুষুপ্তির প্রতীক। আর সবার উপরে অবস্থিত বিন্দুটি তূরীয়াবস্থাকে ব্যক্ত করে।