অমাবশ্যায় যে ৭টি নিয়ম মেনে চলে হিন্দুরা
ডেক্স রিপোর্ট :অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথি দুটি হিন্দু পাঁজি অনুযায়ী অত্যন্ত বিশিষ্ট। এই দিনগুলোতে বিশেষ কিছু রীতি-নীতি মেনে চলার প্রচলন রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। অঞ্চল, ভাষা বিশেষে এই নিয়মগুলোর রকমফের হতে পারে। নিচে যে নিয়মগুলোর কথা বলা হয়েছে তা সচরাচর সব ভাষা বা গোষ্ঠীর হিন্দুরাই মেনে চলেনÑ
১. অমাবস্যার দিন কখনও নখ কাটতে নেই। তন্ত্রমতে, চুল এবং নখ হলো শরীরের ‘নদী’-র অংশ। বলা হয় পূর্ণিমার দিন যেহেতু জীবনপ্রবাহ ‘উচ্চ’ পর্যায়ে থাকে, তাই মানুষের শরীরের মাথা এবং চুল সেদিন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। তাই পূর্ণিমার দিন চুল কাটতে নেই। আবার অমাবস্যার দিন যেহেতু জীবনপ্রবাহ ‘নিম্ন’ থাকে তাই ওই দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় হাত ও পায়ের নখ।
২. অমাবস্যা তিথিতে বাড়ির মূল দরজার সামনে সন্ধের পরে দুটি তিলের তেলে প্রদীপ জ্বালতে হয়। যেহেতু মনে করা হয়, এই দিনে অশুভ শক্তির প্রভাব বাড়ে, তারই প্রতিকার হিসেবে এই নিয়মটি পালন করতে বলা হয়।
৩. পূর্ণিমার দিনের মতোই, অমাবস্যার দিন অবশ্যই বাড়ি ঘরদোর পরিষ্কার করতে হয়। বাড়িতে যেন কোনো এটো বাসন-কোসন না থাকে। বাড়ির নোংরা আবর্জনা দূর করে, ঘর মুছতে হয়, বিশেষ করে চৌকাঠ ভাল করে ধুতে হয়।
৪. অমাবস্যার দিনে দূরে যাত্রা করলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। মধ্যযুগে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অমাবস্যার দিনগুলোতে প্রশাসনিক এবং বৈষয়িক কাজকর্ম সচরাচর বন্ধ রাখা হতো। আধুনিক জীবনে তা হয়তো সম্ভব নয়, কিন্তু জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এইদিন দূরে কোথাও যাত্রা না করাই ভাল। কোনো শুভকাজের সূচনার জন্য এইদিন ভাল নয় বলেই মনে করা হয়।
৫. পূর্ণিমার মতোই অমাবস্যার দিনেও অনেকে উপোস করেন এবং দিনে একবারই খান। পুরোপুরি উপোস না করলেও এইদিন আমিষ খাবার বর্জন করা উচিত বলেই মনে করা হয়।
৬. অমাবস্যার দিন মন্দিরে পূজো দেওয়া শুভ বলে মনে করেন হিন্দুরা। মন্দিরে না যেতে পারলেও এইদিন বাড়িতে স্নান করে ঈশ্বরকে স্মরণ করলে ভাল।
৭. হিন্দু সংস্কার অনুযায়ী অমাবস্যায় গর্ভধারণ অশুভ। অমাবস্যা ছাড়াও পূর্ণিমা, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী এবং চতুর্দশী তিথিতে গর্ভধারণ অশুভ বলে মনে করা হয়।