মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরে পানি কমছে, বাড়ছে কাউয়াদিঘী হাওরের
সোহেল রানা, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের হাওরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে আবার বৃষ্টির কারণে অন্য হাওরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার হাকালুকি হাওরে পানি কমায় কিছুটা স্বস্তি আসলেও কাউয়াদিঘী হাওরের পানি বাড়ায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কুশিয়ারা নদী, হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরে পানি বাড়ার কারণে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। আর এসব বানভাসী মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ৪০ হাজার হেক্টর আয়তনের হাকালুকি হাওরকে ঘিরে আছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা। কাউয়াদীঘি হাওরের বন্যায় রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নের প্রায় পুরোটা এবং মুন্সীবাজার, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ও উত্তরভাগ ইউনিয়নের আংশিক প্লাাবিত হয়েছে। মৌলভীবাজার সদর ইউনিয়নের একাটুনা ও আখাইলকুরা ইউনিয়নের কাউয়াদীঘি হাওর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাউয়াদীঘি হাওর থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি সামান্য নিচে। মনু নদ প্রকল্পের কাশিমপুরে স্থাপিত পাম্প হাউসের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুব একটা পানি কমছে না। বৃষ্টি হলেই পানি বাড়ছে। মৌলভীবাজার দুর্যোগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আশরাফ আলী জানান, হাইল হাওর, কাউয়াদীঘি ও হাকালুকি হাওরের বন্যার পানি কমছে।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান