সিনেট অধিবেশন বর্জন বিএনপিপন্থি ঢাবি সাদা দলের শিক্ষকদের
কিরণ সেখ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্ধারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বিশেষ সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল। একই সাথে ডাকসু ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনসহ অন্য ক্যাাটাগরির শূন্য পদসমূহ পূরণের পর উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানায় সংগঠনটি। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান এ কথা জানান। আজ ঢাবি সিনেটের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের আদেশ আমাদের গৌরব ও অহঙ্কারের প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়ত্বশাসন ও গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক এই ৭৩’র আদেশ সংরক্ষণ ও সমুন্নত রাখার ব্যাপারটি আমাদের সবারই পবিত্র দায়িত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। তাই সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত প্যানেল হতে উপাচার্য নিয়োগ লাভ করুক এটি আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা। সিনেটের প্রায় অর্ধেক সদস্য পদ খালি রেখে, বিশেষ করে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ২৫ টি পদ খালি রেখে একটি অসম্পন্ন সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন কারো কাছে কাঙ্খিত নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী বডি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিনেটকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট বলা হয়। এসিনেটকে কার্যকর রাখা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু যথা সময়ে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন না দিয়ে এবং অন্যান্য সদস্য পদ খালি রেখে এ সিনেটকে অনেকাংশে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। উপচার্য প্যানেল নির্বাচনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অসম্পূর্ণ একটি সিনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াকে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য বলে মনে করি না।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সদস্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানি, ইসরাফিল রতন প্রামাণিক, ইমরান কাইয়ুম, আসলাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : মাকসুদা লিপি