সীমানা পুনঃনির্ধারণে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য
আবু সাঈদ খান
‘না’ ভোট ও সেনা চান ইসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বলব, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন আমাদের দেশের বাস্তবতায় জরুরি বলে মনে করি। সেনা মোতায়েন মানে, সারাদেশের পুলিশ যে ডিউটি করে, নিশ্চয়ই সেনাবাহিনী সেটা করবে না। পুলিশের সহায়তাকারী বাহিনী হিসেবে কাজ করবে। ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মীরা যে মতটা দিয়েছে, সেটা যৌক্তিক। তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই মতামত প্রদান করেছেন, তা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। তবে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। আলোচনার মধ্য দিয়ে আরও অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
সীমানা পুনঃনির্ধাণের বিষয়টি জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া করা ঠিক হবে না। যদিও সীমানা পুনঃনির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এটাই করা উচিত বলে মনে করি। কোনো দলকে বাইরে রেখে এটা করা ঠিক হবে না। বিএনপিসহ সকল বড় দল, তথা সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা উচিত। এককভাবে করা উচিত হবে না। এবং খেয়াল রাখতে হবে, সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে সীমানা সংক্রান্ত যে জটিলতা আছে তাও দূর করা উচিত। কেননা কোনো একটা জায়গায় দেখা যাচ্ছেÑ দুই লাখ ভোটার, আবার অন্য জায়গায় ৫ লাখ। এটা সমন্বয় করা দরকার। আর সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ‘না’ ভোটের ব্যাপারটা হচ্ছেÑ ভোট দেওয়া, না দেওয়াটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। যেমন এক জায়গায় দুই কিংবা পাঁচজন প্রার্থী আমার অপছন্দ হতে পারে, অযোগ্য বিবেচিত হতে পারে, সে জায়গায় আমাকে ‘না’ ভোট দেওয়ার অধিকার দিতে হবে। এটা একটা গণতান্ত্রিক অধিখার, এটা থাকা উচিত। যাতে সবাই তার গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারে। যাকে মানুষ পছন্দ করে না, সুযোগ না থাকলে কিভাবে তা প্রকাশ করবে? আগে থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে এটার পক্ষে দাবি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এটা নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে হুদা কমিশন এটা যুক্ত করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই ‘না’ ভোট বাদ দেওয়া হয়, যার কোনো যুক্তি নেই।
পরিচিতি: সিনিয়র সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ