সংলাপে জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা কী?
ড. দিলারা চৌধুরী
৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করব, সকল দলের অংশগ্রহণমূলক একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের মানুষ তাদের কাছে সেটিই আশা করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন সংকটে আছে। সংকট থেকে উত্তরণের উপায় হলোÑ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এমন একটি নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেখানে ভোটাররা তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। এটা কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে।
সংলাপে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য গড়ে ২ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। ২ মিনিট খুব বেশি একটা সময় নয়, একই সঙ্গে বলতে হয়, খুব কম সময়ও নয়। আমন্ত্রিত অতিথিরা যদি বিস্তৃত আলোচনায় না গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তুলে ধরেন তাহলে ২ মিনিট সময়ের মধ্যেও অনেককিছু বলা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলি, নির্বাচনকালীন সময়ে আমার মতে, সেনা মোতায়েন করা উচিত। এখন কেন সেনাবাহিনী দরকার তার ব্যাখ্যা দিতে গেলে ২ মিনিটে হবে না। বর্তমানে যে পরিস্থিতি দেশে তাতে নির্বাচনে সহিংসতার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তাতে মানুষের মধ্যে যদি এ ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয় তা কি অমূলক হবে? আমার ধারণা, যদি সেনা মোতায়েন না করা হয় তাহলে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবেন না। তাই নির্বাচন কমিশনকে সবকিছু বিবেচনায় রেখে সামনে এগোতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
পরিচিতি: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান