ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক : অধ্যাপক জামিলুর রেজা
তরিকুল ইসলাম সুমন : বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষই ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। এদের একটি বড় অংশই ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসবাস করে। আর বড় আকারের ভূমিকম্প হলে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলার ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশনের প্রথম দিনে মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
মূল প্রবন্ধে জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ভূমিকম্প থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। না হলে বিল্ডিং তৈরির পরে এর খরচ অনেক বেশি, এজন্য যা করার আগেই করা প্রয়োজন। ভূমিকম্প সহনশীল করে ভবন তৈরি করা। এটি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে। তা নাহলে ভূমিকম্প ঝুঁকি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। বুয়েটের এই সাবেক অধ্যাপক বলেন, শুধু বিল্ডিং কোড মেনে ভবন করলেই হবে না, যেই মাটিতে ভবন নির্মাণ করা হবে সেই মাটিও সহনীয় হতে হবে। কারণ অনেকেই জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ করে। এটা ঠিক নয়। কারণ ওই জলাশয়ের উপর ভবন নির্মাণ করলে ভূমিকম্প হলে এটি ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়।
জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে হাইতিতে ৭ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তাতে ৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে চিলিতে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। কিন্তু সেখানে মাত্র ৫৬২ জন মানুষ প্রাণ হারায়। পরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণেই চিলিতে মানুষ মৃত্যু অনেক কম হয়।