এবার খাতা মূল্যায়ন ভালো হয়েছে
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান
অন্য বছরের তুলনায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়েছে। ইতোপূর্বে যে অভিযোগটি জোরালভাবে সামনে উঠে এসেছিল তা হলোÑ পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হতো না। অনেক সময় পরীক্ষকেরা ধারণা করে নম্বর দিতেন। ওজন মেপে অথবা খাতা না পড়েই নম্বর দেওয়া হতো! এবার এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গতবছর এমসিকিউতে ৪০ আর লিখিত ছিল ৬০ নম্বর। এবার এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এমসিকিউ ৩০ আর লিখিত ৭০ নম্বর। অর্থাৎ যত সহজে ১০ নম্বর পেত এমসিকিউ-এর মাধ্যমে, সেটা এবার পায়নি। এটা একটা ব্যাপার। সৃজনশীল আমরা শুরু করেছি, এখান থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার ছিল, তা আমরা করতে পারিনি।
দেশে এমন অনেক কলেজ রয়েছে যেখানে শিক্ষার উন্নত মান সবসময় নিশ্চিত করতে পারে না। পর্যাপ্ত দক্ষ শিক্ষকের অভাবসহ নানা সমস্যা রয়েছে কলেজগুলোতে। কিন্তু এর আগে দেখতে হবে, শিক্ষার্থীদের পরিচর্যার কাজটা কিভাবে করা হচ্ছে। সঠিকভাবে করা হচ্ছে কিনা। অধিকাংশ কলেজেই ক্লাসগুলো ঠিকমতো হয় না। এ রকম নানা সমস্যা রয়েছে কলেজগুলোতে। এসব কারণেই এবারের পাসের হার একটু কমেছে। কুমিল্লা বোর্ড তুলনামূলকভাবে খারাপ ফলাফল করেছে, এর প্রভাব পড়েছে সার্বিক ফলাফলের উপর। কুমিল্লা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের সমস্যা ছিল ইংরেজিতে। এ সমস্যা সমাধানে বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পরিচিতি: উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ