‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলবে ইউনেস্কোর ন্যায় আমরাও এ বিষয়ে সতর্ক’
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলবে। ‘ইউনেস্কো’র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের কাজে কোনো বাধা নেই।’ ইউনেস্কোর উদ্বেগ প্রশমন করেই এই কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
ড. ইলাহী বলেন, কোনো মিটিগেটিং মেজার (পদক্ষেপ) নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা সেটা নেব। তারা যেমন পরিবেশ বিষয়ে সচেতন, তেমনি আমরাও সুন্দরবনের যাতে ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক। গতকাল সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ছোট ছোট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে। তবে এই কেন্দ্রের আশপাশে বড় আকারে কোনো শিল্পকারখানা বা কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হোক, তা আমরাও চাই না। হেরিটেজ কমিটি বাংলাদেশকে এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই রিপোর্ট তৈরি করা হবে। পাশাপাশি আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা ওই কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেব।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, রামপাল প্রকল্প চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে ইউনেস্কোর পরামর্শ অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজিক্যাল এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসেসমেন্টও চলবে। তারা (ইউনেস্কো) বলেছিল, পরিবেশ সমীক্ষা না করে বড় প্রকল্প না করতে। আমরা সেখানে রামপাল ছাড়া আরও কয়েকটি প্রকল্প স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছি। তারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তৌফিক ইলাহী বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। সবাই দেশকে ভালোবাসে। ভুল ব্যাখ্যা বা সঠিক ব্যাখ্যা বলতে কিছু নেই। কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানের উপায় নিয়ে আসতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন