সাড়া পড়েছে দুদকের হটলাইনে
কমল সরকার : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হটলাইন-১০৬ চালু হওয়ার পর অনেকে অভিযোগ জানাতে উৎসাহ পেয়েছেন। বিশেষ করে দেশের দূরবর্তী জেলাগুলোর অভিযোগকারীরাÑ যারা আগে যোগাযোগ বিভ্রাটের কারণে অভিযোগ জানাতে পারেননি তারা এখন পারছেন। সূত্র মতে, হটলাইন চালু হওয়ার পরে প্রতিদিন কয়েক হাজার ফোন আসছে। তবে ঢালাও সব অভিযোগ না রাখা হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় অনেক অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন থাকছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, হটলাইন চালুর প্রথম দিনেই দুই হাজার অভিযোগ এসেছিল। এর মধ্যে ৫৫টি অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (গতকাল) পর্যন্ত কয়েক হাজার অভিযোগ এসেছে। সব অভিযোগ রেকর্ড করে রাখার পর গুরুত্ব বিবেচনা করে আমলে নেওয়া হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত অভিযোগের সংখ্যা কতÑ এমন প্রশ্নে প্রণব কুমার জানান, হাজারো অভিযোগ আসছে। এ মুহূর্তে সঠিক পরিমাণটা আমার জানা নেই।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘দুদক হটলাইন-১০৬’ উদ্বোধন করা হয়। ওইদিনই সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দুই হাজার অভিযোগ জানিয়ে ফোন কল আসে।
এ বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সেলিনা আক্তার মনি বলেন, জনগণের সঙ্গে দুদকের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন ও দ্রুত দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ প্রাপ্তির জন্য হটলাইন চালু হয়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। গুরুতর বিবেচনায় নিয়ে তদন্তের জন্য কমিশনারদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, টেলিফোন বা যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে দুদক হটলাইনে কল করা যাবে। এই কল হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এজন্য মোবাইল থেকে কোনো টাকা কাটবে না। তিনি বলেন, একাধিক ব্যক্তি একইসঙ্গে অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে।
কী ধরনের অভিযোগ আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের আরেক কর্মকর্তা জানান, অনেকে ফোন দিয়ে অভিযোগের পদ্ধতি ও করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইছেন। অনেকে অভিযোগ করছেন, সেগুলো লিখে রাখছি।
দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। এ প্রয়াস বন্ধ হওয়া চাই। জনগণের অংশগ্রহণ না থাকলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী