পাল্টা প্রশ্ন করি, কেন প্রযোজ্য নয়?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগে পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ব্যবস্থা করতেন। লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করতেন সরকারি ছাত্র সংগঠনের নেতা- ক্যাডারদের।
হল ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব সরকারি ছাত্র সংগঠনের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা ইচ্ছেমতো শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন করছেন।
অস্ত্র চালানোয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডার, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে নিয়েছেন। এখন আর তাদের স্বেচ্ছাচারিতা চালানোর জন্যে পুলিশের উপর নির্ভর করতে হয় না। প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের পেটানোর দায়িত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই পালন করছেন। ছাত্রীদের নিপীড়ন করার জন্যে মানিকদের দরকার হচ্ছে না, তাও শিল্পবোদ্ধা শিক্ষকরা করছেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাড়ায় ক্যাডার শিক্ষক আসছেন। প্রয়োজনে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সরকারি ছাত্র সংগঠন তো আছেই।
প্রশ্ন আসবে, একথা কী সব শিক্ষকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? পাল্টা প্রশ্ন করি, কেন প্রযোজ্য নয়? অধ্যাপক সাদেকা হালিমের মতো দু-একজন ছাড়া, অন্যায়- অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কথা বলতে তো দেখা যাচ্ছে না তেমন কাউকে। নজিরবিহীন নৈরাজ্য কায়েম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাঙ্গণে। এত বড় অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকাটাও বড় অপরাধ। নিজেদের ‘ভালো’ মনে করে বসে থাকা, অপরাধী আপনারা।
লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক
ফেসবুক থেকে