বিজেপি কী মুসলিম মুক্ত ভারত চায়? সংসদে প্রশ্ন তৃণমূল এমপির
ডেস্ক রিপোর্ট : ‘বিজেপি কী মুসলিম মুক্ত ভারত চাচ্ছে?’ পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল এমপি অধ্যাপক সৌগত রায় লোকসভায় শাসক দল বিজেপি’র উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন করেছেন। ভারতের বিভিন্নস্থানে গণপিটুনির ঘটনা প্রসঙ্গে লোকসভায় আলোচনার সময় গত সোমবার তিনি ওই মন্তব্য করেন। পার্সটুডে
সৌগত রায় বলেন, গণপিটুনিতে হত্যার ৯৭ শতাংশ ঘটনাই কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এর মধ্যে হিন্দু-মুসলিমের প্রশ্ন আনতে চাচ্ছি না, কিন্তু গণপিটুনিতে হত্যার ৯৭ শতাংশ ঘটনাই নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ঘটেছে।
এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬ শতাংশই মুসলিম।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলে থাকেন কিন্তু আপনারা কী মুসলিম মুক্ত ভারতও চান?’
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইন তৈরি করার দাবি জানান।
সংসদে সোমবার কংগ্রেস এমপি মুহাম্মদ আসারুল হক টুপি ও বোরকা পরিহিতদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, টুপি পরা ও দাড়ি রাখা লোক এবং বোরখা পরা নারীরা ঘরের বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। লোকেরা তাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছে, এর প্রতিবাদ করলেই তারা আক্রমণ করছে। সংসদে বিজেপি এমপি হুকুমদেব নারায়ণ যাদব গণপিটুনির ঘটনাকে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।
ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচি গতবছর জুনে ‘মুসলিম মুক্ত ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। সেসময় তার বিরুদ্ধে পাঞ্জাব এবং কেরালায় পৃথকভাবে এফআইআর দায়ের করা হয়।
সাধ্বী প্রাচি বলেছিলেন, আমরা ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ অভিযান সম্পূর্ণ করেছি। এবার দেশকে মুসলিম মুক্ত করার সময় এসেছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’ সাধ্বী প্রাচির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সে সময় জম্মু-কাশ্মির বিধানসভাতেও তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে আরএসএস সংশ্লিষ্ট ধর্ম জাগরণ মঞ্চের নেতা রাজেশ্বর সিং ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতকে মুসলিম ও খ্রিস্টান মুক্ত করার ঘোষণা দেয়ায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ