বিশ্বনেতাদের বিরুদ্ধে যত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ
রাশিদ রিয়াজ : গণতন্ত্র অবমাননার দায়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোই একমাত্র ব্যক্তি নন যে তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র এধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞায় তার সম্পদ আটকের চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এধরনের নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধ কোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশের বিরুদ্ধেও ঘোষণা করা হয় এবং এধরনের নিষেধাজ্ঞায় ওই প্রতিষ্ঠান বা দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক লেনদেনে বিধি-নিষেধ, সম্পদ আটকসহ বিভিন্ন ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়। ডেটন শান্তি চুক্তিকে ব্লক করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। স্পুটনিক
গত ১৭ জানুয়ারি ওয়াশিংটন রিপাবলিক স্প্রস্কার প্রেসিডেন্ট মিলারাদ দোদিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গতবছর ১৬ জুলাই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও তার দেশের ২২ জন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৪ সালের ১৩মে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের ৫ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কোস বোজাইস যিনি ২০১৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন, তিনিও এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এছাড়া সেন্ট্রাল আফ্রিকার জননিরপত্তা মন্ত্রী নুরেদিন আদম, খ্রিস্টান বিদ্রোহীদের নেতা লেভি ইয়াকেতি এ নিষেধাজ্ঞায় পড়েন।
২০১১ সালের ১৮ মে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। একই বছর এপ্রিলে সিরিয়া সরকারের বেশ কিছু কর্মকর্তা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০১১ সালে ৭ এপ্রিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন কোট আইভরিওর নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কোট আইভরিওর প্রেসিডেন্ট লরেন্ট জিবাগবোর সরকারকে অবৈধ অভিহিত করে ইইউ সরকারটির কাছ থেকে বন্ড ও সিকিউরিটি না কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেসিডেন্ট লরেন্ট জিবাগবো তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলাসান ভুট্টরার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকার করেন।
২০০৬ সালের ২৪ মার্চ ইইউ নেতারা বেলারুশ কর্তৃপক্ষ ও দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন দেন। বেলারুশের কর্মকর্তাদের একটি কালো তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়াও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
২০০১ সালে জাম্বিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগের বছর ইইউ আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর একাধিক ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০১৪ সালে এধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে শুরু করে ইইউ। তবে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে, তার স্ত্রী ও দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইইউ’এর মতো সৌদি আরবের নেতৃত্বে কয়েকটি আরব ও আফ্রিকার দেশ কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও সম্পর্কোচ্ছেদ করে এ বছরের জুন মাসে।