মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই দায়িত্ব নিতে হবে
কবীর চৌধুরী তন্ময়
রাজনীতি, সমাজনীতি কিংবা অন্য যেকোনো নীতি যদি দেশ ও জনগণের জন্য না হয়, যদি মানুষ-মানবতাবোধ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে নীতি বা রাজনীতি বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। আর এই নীতি-নির্ধারণ করার জন্য নির্ধারক প্রয়োজন, নেতা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে নেতা নির্বাচন করতে ভুল করলে নেতার ওই নীতির কারণে শুধু রাজনৈতিক সংগঠনটিই ধ্বংস হবে না; সঙ্গে সঙ্গে দেশ-জাতি ধ্বংসের পথে চলে যাবে।
বিএনপি-জামায়াতে ইসলামের আদর্শগত চরিত্র পুরো জাতির কাছে আজ পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ আধুনিক প্রজন্মের অধিকাংশ তরুণ আজ তাদের ঘৃণা করে। জামায়াতে ইসলাম রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী এবং বিএনপি ক্যান্টনমেন্ট থেকে উঠে আসা মানবতাবিরোধীদের সহায়তাকরী একটি পাকিস্তানপন্থি রাজনৈতিক সংগঠন।
কিন্তু দুঃখজনক হলোÑ ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ ধীরে-ধীরে নীতি ও আদর্শ ভ্রষ্ট হয়ে ভ্রান্ত পথে এগোচ্ছে। ভুল নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে ভুল নীতি গ্রহণ। আবার এই ভুল নেতারাই হয়তো পরিকল্পিত, নয়তো স্বভাবগতভাবে স্বাধীনতাবিরোধী আদর্শের লোকদের দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষমতা বণ্টন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠনকে বিতর্কিত ও ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।
শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের একজন কর্মী নয়, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। দেশ ও জাতির মর্যাদার প্রতীক। আর আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া। তাই দায়িত্বটা সবার আগে তার হাতেই তুলে নিতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা কারও কাছে বিক্রি হন না।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)
সম্পাদনা: আশিক রহমান