ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ
বগুড়ার কলেজছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে, আবার মা-মেয়ের মাথাও ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু বর্বর ঘটনাই নয়, চরম অমানবিক। ধর্ষণের ঘটনা কেবল বগুড়ায়ই নয়, সারা বাংলাদেশেই এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা। পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে এটা বলা যায়, কোথাও যেন কোনো জŸাবদিহিতা নেই। দেশে আইনের শাসন নেই বললেই চলে। আমার মনে হয়, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা যেসব দায়িত্বহীন কাজ করছে সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এখানে প্রশাসনও তাদের প্রশয় দিচ্ছে বলে মনে হয়।
পুলিশ প্রশাসন প্রশ্রয় না দিলে তারা এগুলো করতে পারত না। তাদের ছোট ছোট অপরাধগুলো যদি সঠিকভাবে দেখা হতো তাহলে এ ধরনের বড় অপরাধ থেকে ঠিকই বিরত থাকত। ধর্ষণের মতো কাজগুলো হয় বর্বর মানসিকতার কারণে। এ ধরনের বর্বরতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের আইন আছে, প্রশাসন আছে, সব কিছুই আছে। কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রেই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। বগুড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে যদিও গ্রেপ্তার হয়েছে, রিমান্ডে নিয়েছে। চূড়ান্তভাবে কি হয় তা দেখার বিষয়।
এ ধরনের ঘটনাগুলোকে স্বাধীনভাবে দেখতে হবে। কেন তারা এরকম ঘটনা ঘটানোর পরেও পার পেয়ে যায়? কেন এমন ঘটনা বারবার ঘটাতে পারে? অবশ্যই এতদিন তারা (প্রশাসন) এটা শক্তভাবে দেখেনি অথবা এখানকার সিস্টেমে এমন কিছু সুযোগ আছে, যে কারণে তারা এই অপরাধগুলো করছে বা করতে পারে। আমার মনে হয়, এটা হলো আমাদের একটা সূচক। যেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে আইনের শাসনের দুর্বলতা কতটুকু। এখন সরকার ও সরকারি দলকে বিষয়টি খুব গুরুতরভাবে দেখতে হবে।
ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনাগুলো যাতে আর না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যারা প্রশাসনে আছেন, তারা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন তা হলেই চলে। বিশেষ করে থানায় কর্মরত পুলিশ যেন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের এখানে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগটা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
পরিচিতি: মানবাধিকারকর্মী
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ