সিএসআর কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে : অর্থপ্রতিমন্ত্রী
তানভীর আহমেদ: সিএসআর কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসকল কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের বেসরকারি খাত অনেক দূর এগিয়েছে। এ ছাড়া গত দুই বছরে দেশের অর্থনীতিসহ সামগ্রিক খাতে পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সিএসআর আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিএসআর কার্যক্রম বাড়াতে সবাইকে একটি প্লাটফর্মে আসতে হবে। বাংলাদেশে একটি সিএসআর নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয় ইতোমেধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বাণিজ্যিক সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সুপারিশমালা গ্রহণ করেছে এবং সরকার এ সুপারিশের আলোকে সিএসআর নীতিমালা প্রণয়নে শীঘ্রই একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠন করবে।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, কোম্পানিগুলোকে সিএসআর কার্যক্রমে আরো উন্নতি করতে হবে। কারণ এটি প্রবৃদ্ধি অর্জনে উন্নয়ন সহায়ক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত চালু থাকলেও এখনও তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। এসডিজিতে উল্লেখিত দারিদ্র বিমোচন, ক্ষুধা নিবারন, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করা প্রভৃতি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সিএসআর কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, যেকোন প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধিতে সিএসআর কার্যক্রম একান্ত আবশ্যক। তিনি আরোও বলেন, যেকোন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সিএসআর অত্যন্ত কার্যকর।
এস আর এশিয়া বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমাইয়া রশিদ বলেন, সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন হলে দেশের কর্পোরেট সংস্থাসমূহে সিএসআর কার্যক্রম আরোও সক্রিয়ভাবে কার্যকর করা যাবে। তিনি জানান, এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশে সিএসআর’র কার্যক্রম এখনও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে সিএসআর কার্যক্রমের টেকসই উন্নয়ন ও তার প্রভাব পর্যালোচনার জন্য আমাদের সকলকে আরোও মনোযোগী হতে হবে।