ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে ঠিকই, তবে এই হত্যার সুফলভোগীরা এখনো থেমে নেই। তাদের এখন লক্ষ্য হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা তার পরিবারের সদস্যরা। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে পাকিস্তান পন্থা কায়েম করা যাবে এটাই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে দেশ একশ বছর পিছিয়েছে বলে এসব মন্তব্য করেন দেশের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর। তিনি বলেন, সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে থাকলে তাদেরও হত্যা করা হতো। তাদের নিশানা ছিল মুজিব পরিবারকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। শুধু নিশ্চিহ্নই নয়, ছিল জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন একেবারেই মূলোৎপাটন করা। নকশাও ছিল নিখুঁত।
ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, যে সময়টায় আক্রমণ করলে বুলেটের নিশানা ভুল হবে না, ঠিক সেই সময়টাই বেছে নিয়েছেন খুনীরা। তাই খুনিদের বুলেট থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেলও। ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য ছিল রাজনীতির মাঠ থেকে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরীদেরও বিদায় করে দেয়া। যে ষড়যন্ত্রের থাবা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরই তার চলাচলের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার। দেশে ফেরার প্রথম দিন নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনও হুমকির মুখে পড়ে।
শাহরিয়ার কবীর বলেন, শেখ হাসিনার উপর প্রথম প্রকাশ্যে হামলা হয় ১৯৮৮ সালের ২২ জানুয়ারি। ওইদিন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সেখানে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। এর আগে তাকে হত্যার ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করা হয় ২০০০ সালে। ওই বছর ২০ জুলাই টুঙ্গিপাড়ার কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে রাখা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কেও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র করা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ