ধর্ষণের প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত হতে হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : ধর্ষণের প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে পারলেই এই পৈশাচিকতা কমবে। একটি ঘটনা ঘটার পর আমরা আগেরগুলো ভুলে যাই। এই ভুলে যাওয়ার ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে অপরাধী বেরিয়ে আসে। বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ধর্ষণের যে ভাইরাস ঢুকে পড়েছে তার জন্য বিচার ঠিক করতে হবে। বিচারহীনতার জের টানছে এদেশের কন্যা শিশু ও মেয়েরা। আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা অনেক সময় দেখি বিচার কাজ দেরি হওয়ায় ঠিক সময়ে সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর আইনের ফাঁকেই অপরাধী বেরিয়ে আসে। এক্ষেত্রে বিচারকদের কিছু করার থাকে না। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্যাতিত পরিবার খুব দুর্বল থাকে। তারা সামাজিক ভয় এবং আর্থিক টানাপড়েনের কারণে মামলা ঠিকমতো চালাতে পারে না। তবে এই রোগ থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হলে বিচার নিশ্চিত করতেই হবে।
মানবাধিকার নেতা অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম বলেন, সামাজিক অবক্ষয় আর নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তাই এত বাচ্চা মেয়েদের উপর খড়গ নেমে এসেছে। সমাজের এর পচন রোধ করতে পারবে আইন। নির্যাতিত মেয়েটির পাশে সমাজের বিবেকবান মানুষদের দাঁড়াতে হবে। বিচার যেন ঠিকভাবে হয়, সেই ক্ষেত্রেও সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। অপরাধী যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, তাহলে অবশ্যই ধর্ষণ কমে আসবে। নিপীড়কদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। শাস্তি নিশ্চিত হলে পুরো দেশ জানবে। কারো মধ্যে অপরাধ প্রবণতা থাকলেও সে শাস্তির ভয়ে নিজেকে দমন করবে। তাই ধর্ষণের শাস্তি হতেই হবে। প্রভাবশালী, ধনী কিংবা শিক্ষক এটা দেখার সুযোগ নেই। ধর্ষক মানে ধর্ষক। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ