শান্তিনগর সড়কে লাইফবোটে পথচারী পারাপার
তরিকুল ইসলাম সুমন : ৬০ মিনিটের বৃষ্টিতেই রাজধানী ঢাকার প্রায় অর্ধেক এলাকা তলিয়ে গেছে পানির নিচে। ভাঙা-চোরা, গর্ত, ম্যানহোলের খোলা মুখ, খানা-খন্দে ভরা রাস্তা অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে প্রভাব পড়ে যানবাহন চলাচলে। পুরো রাজধানী জুড়েই তৈরি হয় তীব্র যানজটের। তবে মজার ব্যাপার হলো রাজধানীর শান্তিনগরে বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে লাইফবোট দিয়ে পথচারি পারাপার করানোও চোখে পড়ে। এ কাজটি করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবল বর্ষণে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার সড়ক হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। এমন একটি এলাকা শান্তিনগরে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের লাইফবোট। রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বিজিএমইএ ভবনের মাঝের রাস্তা, হাতিরপুল বাজার, কাকরাইল, বেইলি রোড, রমনা পার্কের ভেতরের রাস্তায়ও ঢুকছে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পানি। ফকিরাপুল, আরামবাগ, বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে কচ্ছপ গতিতে গাড়ি চলার পাশাপাশি অনেকগুলো গাড়ি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পানির মধ্যে। বেশ কিছু সিএনজি, মোটরসাইকেল, মাইক্রো কিংবা প্রাইভেটকারের সাইলেন্সার কিংবা ভেতরে অন্য কোনো যন্ত্রাংশে পানি প্রবেশ করায় বন্ধ হয়ে গেছে এবং কোমর সমান পানিতে বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল হয়ে রাজারবাগের দিকে রাস্তা হাঁটু পানিতে ডুবেছিল।
মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত রাস্তাটা পুরোপুরি ডুবে আছে পানির নিচে। আর সেই পানির কল্যাণে অসহনীয় যানজট। পল্টন, প্রেসক্লাব, মতিঝিল থেকে শুরু করে ঢাকার অনেকগুলো এলাকা পানির নিচে। কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত পুরো ঢাকা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগ থেকে শিশু-নারী-বৃদ্ধ, স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধীদের পরিত্রাণ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা লাইফবোট নামানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সচিবালয়, নটরডেম কলেজের সামনের রাস্তা ও মিরপুর এবং শান্তিনগরে বৃষ্টি পানি উপচে সৃষ্ট দুর্ভোগ কমাতে লাইফবোট ছাড়াও ফায়ার বিগ্রেডের বেশ কিছু স্টেশনের টিম (৫-১০ জন কর্মীর) কাজ করেছেন।
এ বছর বর্ষায় সব এলাকায় লাইফবোট সুবিধা দেওয়া সম্ভব না হলেও সবচেয়ে বেশি দুর্গত এলাকাগুলোতে ১০-১৫টি লাইফবোট এখন থেকে কাজ করবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ