পাট চাষে নীলফামারীতে নারী কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পরিধি বেড়েছে
ডেস্ক রির্পোট: পাটের আঁশ ছড়ানোর কাজের মাধ্যমে জেলায় নারী কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পরিধি বেড়েছে। সোনালী পাটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির হওয়ায় অনেকটাই সুদিন এসেছে তাদের ঘরে।
এবারে পাটের আবাদ বেশী হওয়ায় জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে পাট পঁচানো ও আঁশ ছড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। পাট পঁচানোর এসব জলাশয়ের ধারে দল বেঁধে বসে সোনালী আঁশ ছড়াতে দেখা গেছে নারী শ্রমিকদের। জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ চওড়া গ্রামে ২৭ নারী শ্রমিককে জলাধারে উঁচু স্থানে এক সারিতে বসে দেখা গেছে পাটের আঁশ ছড়াতে। এসময় একজন পুরুষ জলাশয়ের কোমর পরিমাণ পানিতে নেমে দিচ্ছিলেন পঁচানো পাটের আশ ছড়ানোর কাজে যোগান। তিনি জানান, শুকনা মৌসুমে স্বামীর সাথে কৃষির বিভিন্ন জমিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে পানিতে নেমে জমিতে ধানের চারা লাগানোর কাজে নারী শ্রমিকদের কিছুটা সমস্যা হয়। গড়ে দেশী জাতের পাট প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ বেল এবং তোষা জাতের পাট প্রতি হেক্টরে ১১ বেল উৎপাদন হয় বলে জানায় ওই সূত্র। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, গত বছর বাজারে প্রতিমণ পাট ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পেরেছে কৃষক।