বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি
মাসুদ মিয়া : দেশের বন্যা ও বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে রাজধানীর নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত দুই সপ্তাহে ঘন ঘন বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে আলু ও কচুরমুখী বাদে বেশিরভাগ সবজিই ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে কাঁচামালের সরবরাহ কমে গেছে- এ অজুহাতে সবজিসহ কাঁচামরিচ, পিঁয়াজ, আদা, রসুন ও আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে মাছের দামও বেশ চড়া। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে বাড়তি দামের কারণে কাক্সিক্ষত পণ্য কিনছেন না।
বিক্রেতারা বলছেন, অতি বর্ষণে রাজধানীর বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোতে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনি। অনেক স্থানে কাঁচাপণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে সব থেকে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া টমেটো ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৬০ টাকা, নতুন শিম ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে আরও জানা যায়, দেশি পিঁয়াজ দাম বেড়ে কেজি প্রতি ৪০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন কেজি প্রতি ৬০-৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা, দেশি টমেটো ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৫৫ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
পীরেরবাগের বাজারের সবজি বিক্রেতা হায়দার হোসেন বলেন, কয়েক মাস ধরেই পটোল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, করলা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। তবে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তবে আলু বিক্রয় হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২২ টাকা। সবজি কিনতে আসা ক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, সব ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের। একদিকে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় কষ্ট হচ্ছে; অন্যদিকে বর্ষার কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। কোনো দিকেই স্বস্তি নেই। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন