কেন এডমিশন টেস্ট জরুরি
প্রফেসর ড. এম এম শাহিদুল হাসান
আমাদের দেশে যারা প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারিতে পড়াশোনা করে আসে তারা তো ইন জেনারেল খুব ভালো ছাত্র। যদিও এখন কোয়ালিটি এডুকেশনকে এতবেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ইউনিভার্সিটির পড়ালেখা একটু ভালো ছাত্র না হলে বুঝতে পারে না। ক্ষতি হয়ে যায়, ড্রপ আউট হয়, এতে নানারকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। আবার, ইউনিভার্সিটিভিত্তিক সমস্যা আছে। সব ইউনিভার্সিটি তো কোয়ালিটি এডুকেশন প্রোভাইট করতে সচেষ্ট নয়, তারা ব্যবসায়ই করে। আমি মনে করি, এডমিশন টেস্ট নিতে হবে। এডমিশন টেস্ট যদি না নেন, তাহলে গণহারে, যার ইচ্ছে নেই সেও এসে ডিগ্রি নিয়ে যাবে। এটা একটা অরাজকতা।
যারা হায়ার স্টাডিতে পাস করে, ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করে তারা বড় চাকরি পায়। আমাদের সোসাইটি এখন নলেজবেইজড। সেই সোসাইটির মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যও নলেজবেইজড, আইটিবেইজড হয়ে যাবে। তাই ভালো ও মেধাবী ছাত্রের দরকার। সেজন্য এডমিশন টেস্ট লাগবেই। আমি বুয়েট থেকে পাস করেছি। সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুইটা সেমিস্টার। আমি আমেরিকা থেকে লেখাপড়া করেছি। আমেরিকার অনেক ইউনিভার্সিটিতে বাই সেমিস্টার চলমান। বাই সেমিস্টার যারা চালায় তাদের কিন্তু কমপক্ষে ১৫-১৭ সপ্তাহ লাগে। আমাদের দেশে টাইসেমিস্টারের সিলেবাসটাই বাই সেমিস্টারের জন্য করা হয়। আমরা সিরিয়াসলি না দেখেই টাইসেমিস্টার করে বাই সেমিস্টারের সব ঢুকিয়ে দিয়েছি। কোন ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি কত হবে, এটা নির্ভর করে তার এডুকেশনের ভ্যালুর উপর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর বড় সমস্যা হচ্ছে, ছাত্ররা তাদের পয়সা দিয়ে পড়তে আসে। তারা ভালো এডুকেশন চায়। এডুকেশনের অর্থ হচ্ছে ভালোভাবে পড়ানো। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্ট নেয় না, সেটা করা তাদের উচিত নয়। এডমিশন টেস্ট নেওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি।
পরিচিতি: ভিসি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
মতামত গ্রহণ: সাইফুল ইসলাম
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর খুবই পজেটিভ