রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ কি শুধু ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পাওয়া
গোলাম মাওলা রনি
বি. চৌধুরীর বাসায় যারা মিটিং করেছেন তারা সবাই সম্মানিত মানুষ এবং রাজনীতিবিদ। তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা, যোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় বা সন্দেহ নেই। দেশের প্রতি তাদের অনেক অবদান আছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের যে তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করছি তাতে, আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে বলেই মনে হচ্ছে, এবং সেটা যেভাবেই হোক না কেন। অর্থাৎ সরকারকে তারা খালি মাঠে গোল দিতে দিবে না বলেই মনে হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে এলেও তারা নির্বাচন করবে, না এলেও নির্বাচন থেকে সরে যাবে না বলেই আমার ধারণা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটা রাজনৈতিক শক্তি দাঁড় করানো, ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই গ্রুপটি কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সে কারণেই হয়তো তারা একত্রিত হয়েছেন। এখন এটার সফলতা এবং ব্যর্থতা নির্ভর করবে জাতীয় পার্টি যদি তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তাহলেই কেবল একটি শক্তিশালী পক্ষ হিসেবে রাজনীতিতে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করতে চান আগামীতে নির্বাচন এবং ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে। দেশের রাজনীতির মূল ধারাটা হলো ক্ষমতাকেন্দ্রিক। ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রটাকে কতটুকু সুপ্রতিষ্ঠিত করবে এটাকে মূল লক্ষ্য ধরে কোনো রাজনৈতিক দল কাজ করে এ ধরনের ইতিহাস এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে নেই। আমার কাছে মনে হয়, কোনো রাজনৈতিক দলই নীতি-আদর্শ অন্তরে ধারণ করে না। সবাই মূলত নির্বাচন কেন্দ্রিক, ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতি করে। এই যে নতুন জোট প্রক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করছি, তারা হয়তো বলবেনÑ দেশের গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা, মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ইত্যাদি। কিন্তু তারা মূলত ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই এসব কিছু করছেন। অন্য কিছু নয়।
পরিচিতি: কলামিস্ট ও সাবেক সংসদ সদস্য
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ