প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার তৈরির উদ্যোগ পিকেএসএফের
ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিপুল চাহিদার প্রেক্ষিতে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কেয়ারগিভার (শশ্রুষাকারী) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষে সংস্থাটি সম্প্রতি বৈশ্বিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান স্যার উইলিয়াম বেফারেজ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় উইলিয়াম ফাউন্ডেশন তরুণদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি তাদের চাকরির ব্যবস্থাও করবে। -বাসস
পিকেএসএফ আশা করছে এই উদ্যোগ দেশে কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যা দারিদ্র বিমোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জসীম উদ্দিন বলেন,অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবীণ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে কেয়ারগিভারের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকা ছাড়াও এশিয়ার উন্নত দেশগুলোতে কেয়ারগিভারের বিপুল চাহিদা রয়েছে।এই উপলব্দি থেকে কেয়ারগিভার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,পিকেএসএফের মূল উদ্দেশ্য হলো-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করা। প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার তৈরি করতে পারলে উচ্চ মজুরীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ যেমন সৃষ্টি হবে পাশপাশি প্রবীণরা সেবাও পাবে।
প্রসঙ্গত,পিকেএসএফের সহযোগিতায় উইলিয়াম ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে ২০ জন তরুণকে পরীক্ষামূলকভাবে কেয়ারগিভারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এসব প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার এখন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনে চাকরি করছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পিকেএসএফ উইলিয়াম বেফারেজ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে ৩০ জন শিক্ষিত তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ বাবদ খরচের বড় অংশ পিকেএসএফ অনুদান সহায়তা দেবে।
জসীম উদ্দিন বলেন,চলতি বছর থেকে আমরা কেয়ারগিভার প্রশিক্ষণের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করি। ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়া ২০ তরুণ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। উইলিয়াম ফাউন্ডেশন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
কেউ কেউ নিজে চাকরি খুঁজে নিয়েছেন। প্রশিক্ষিত এসব কেয়ারগিভারের বেশিরভাগ নারী। তিনি জানান, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা তরুণদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৩০ জনকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ থাকলেও ভবিষ্যতে আরো অধিকসংখ্যককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় বিপুল সংখ্যক দক্ষ কেয়ারগিভার তৈরি করা সম্ভব হলে, তা দারিদ্র বিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পিকেএসএফের এই কর্মকর্তা।