সরকারকেই ১২৮৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে বিটিএমসির দায় নিয়ে কমিটির প্রতিবেদন পেশ
ডেস্ক রিপোর্ট : বিরাষ্ট্রীয়করণ ২৯টি টেক্সটাইল মিলের প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকার দায় থেকে বিটিএমসিকে অব্যাহতি দিতে দু’দফা সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত কমিটি। মিলগুলোর অনুকূলে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য এ সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের অর্থ বস্ত্রকল বিক্রয় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হবে। আর স্বল্প মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করতে হবে বিটিএমসিকে। তবে এর আগে বিটিএমসিকে ১২৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির প্রতিবেদনে। সম্প্রতি সুপারিশের এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিককে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। -যুগান্তর
সূত্র মতে, দায় দেনা শোধে প্রায় ৭৮৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনকে (বিটিএমসি) বরাদ্দ দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ চাওয়ার প্রস্তাবটি ইতিবাচক বিবেচনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে। ডিও লেটারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, বিরাষ্ট্রীয়করণ ২৯টি বস্ত্র মিলের দায়-দেনা থেকে বিটিএমসিকে অব্যাহতি দিতে ৭৮৩ কোটি টাকার প্রয়োজন। বিটিএমসিকে ওই টাকা পরিশোধে আপনার (অর্থমন্ত্রী) ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বস্ত্রকলগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক তিনটি এবং প্রাইভেটাইশেন কমিশনের মাধ্যমে ১২টি বিক্রি হয়। এছাড়া ৯টি মিল হস্তান্তর করা হয়েছে শ্রমিক ও কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনায়।
পাশাপাশি লিকুইডেশন সেলে ন্যস্ত করা হয় আরও ৫টি। এ ২৯টি বস্ত্রকলের দায়-দেনা হচ্ছে মোট ১২৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। উল্লিখিত দায়-দেনা কিভাবে পরিশোধ করা হবে এর জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সূত্র মতে, গঠিত কমিটির দু’দফা সুপারিশে বলা হয়, বিটিএমসির ২৯টি বস্ত্রকলের কাছে মোট পাওনার পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকা। এ দায়-দেনার টাকা সরকার পরিশোধ করবে বিটিএমসিকে। বিটিএমসিকে এ টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। তবে বিটিএমসির কাছে ৫০১ কোটি ৯১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে সরকার। সরকারের পাওনা কেটে রেখে বাকি ৭৮২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিটিএমসিকে বরাদ্দ করা যেতে পারে। অপর সুপারিশে বলা হয় মিলগুলোর অনুকূলে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ আছে। এসব মিল বিক্রয় চুক্তি মোতাবেক ক্রেতাই পরিশোধ করবে। তবে বিটিএমসি কর্তৃক দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের হিসাব আলাদা রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করে আদায়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।