খুশী কবির
গত ৬ মাসে ২৩০ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সামাজিক অবক্ষয়ই এর মূল কারণ। আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক। কিছু পুরুষ মনে করেÑ তারা যা খুশি তাই করতে পারে। এরা আসলে মানুষ নয়। এরা অসুস্থ। এদের চিকিৎসা করাতে হবে। আমাদের দেশে আইন আছে, কিন্তু আইনের বাস্তব প্রয়োগ নেই। এদেরকে ধরা হয়। তারপর আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। মৌলবাদী গোষ্ঠী হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দিয়েছিল, যাতে নারীদের ঘরে আবদ্ধ করা যায়। এদের কাছে নারী মানে খেলার পুতুল। তাদের বক্তব্য নারীদের বাইরে যাওয়া যাবে না। বাইরে যাওয়া মানেই বিপদ। বিপদ এড়াতে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে কাটাতে হবে। নারী ও শিশু আইন আছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে ধর্ষককে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। সরকারি দল ও বিরোধী দল দুদলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ঠিক হলে মানুষ সচেতন হবে। সঠিক গণতন্ত্র আসবে। শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদ- হওয়া উচিত।
পরিচিতি: মানবাধিকার কর্মী
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান