স্বাস্থ্যসেবার দাম কমানোর উপায়
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
অল্প খরচে কিডনি ডায়ালাইসিসের ভাবনাটা সাধারণ মানুষের কান্না ও তাদের অসহায়ত্ব থেকে এসেছে। মানুষের দুঃখ দেখে আমরা তা বুঝতে পেরেছি। কিডনির চিকিৎসা আছে, অথচ অতিরিক্ত খরচের কারণে বেশিরভাগ মানুষই সেবাটা নিতে পারছে না। এই চিন্তা-ভাবনা থেকেই এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। এই সেবাটা অল্প খরচে না দিতে পারার পেছনে সরকারি সংস্থাগুলো একটা বড় প্রতিবন্ধকতা।
আমাদের স্বাস্থ্যসেবার দাম বাড়ার পেছনে একটা কারণ হলোÑ যারা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান দেয় তাদের লোভ-লালসা থাকে বেশি। ফলে দামটা বেশি হয়। আর তার চেয়ে বড় কথা হলো যে, সরকার তা অ্যালাউ করে। ডায়ালাইসিস রোগীদের প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে ইনজেকশন দিতে হয়, যার দাম ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। অথচ এই ওষুধটা তৈরি করতে খরচ পড়ে মাত্র ৩ থেকে ৪শ টাকা। এই দামটা এতটা বেশি হওয়া উচিত নয়। ওষুধটার দাম বড়জোর ৬শ টাকা হতে পারে। এই জায়গাগুলোতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া দাম কমানো সম্ভব নয়। আরেকটা বিষয় হলোÑ সরকারের ট্যাক্সের বিষয়টা। এসব মেডিকেল ইউটিলিটির উপর সরকারের ৫৮% পর্যন্ত ট্যাক্স নিয়ে থাকে। বাংলাদেশে তৈরি জিনিস ভারতে এক্সপোর্ট হয় এক ডলার পঁচিশ সেন্টে। অথচ তারা একই জিনিস আমাদের এখানে বিক্রি করছে ২৫০ টাকায়। সরকার এ বিষয়ে কোনো কথাই বলছে না। এই বিষয়গুলোতে সরকারি নজরদারি বাড়ালে এই সেবা কম খরচে আরও দেওয়া যেতে পারে।
পরিচিতি: প্রতিষ্ঠাতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান