ধর্ষণের মামলায় সাফাতসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল
সাবিহা সুলতানা : বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে।
গতকাল রোববার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বিধায় মামলার সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক শফিউল আজম আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৪৭ জনকে।
১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ মে শনিবার রাতে জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে মারধর এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আসামিদের অপর তিনজন ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণ করেন।